<p>চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের নেতৃত্বে জার্মানিতে তিন দলের জোট সরকার প্রায় তিন বছর পূর্ণ করছে। ইউক্রেন যুদ্ধের মতো একাধিক চ্যালেঞ্জ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সেই জোট। তার ওপর বিভিন্ন ইস্যুতে শরিক দলগুলোর মধ্যে কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে চলে আসায় এই সরকারের ওপর মানুষের আস্থ কমছে, যার প্রভাব একের পর এক নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে। চ্যান্সেলর হিসেবে শলৎসের জনপ্রিয়তাও বড় ধাক্কা খাচ্ছে।</p> <p>এমন প্রেক্ষাপটে ২০২৫ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রায় এক বছর আগে প্রধান বিরোধী ইউনিয়ন শিবির চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী স্থির করেছে। রক্ষণশীল সিডিইউ দলের প্রধান ফ্রিডরিশ ম্যারৎসই জার্মানির আগামী চ্যান্সেলর হতে চান। দলের অন্যান্য সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ও বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের নেতা মার্কুস স্যোডার নিজেদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা সরিয়ে রেখে শিবিরের নেতা হিসেবে ম্যারৎসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ২০২১ সালের নির্বাচনের আগে ইউনিয়ন শিবিরে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী নিয়ে রেষারেষি ও বিভ্রান্তি পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল বলে দুই দলের অনেকে মনে করেন। তাই এ যাত্রায় বিষয়টি যথেষ্ট আগে স্পষ্ট করে দিল প্রধান বিরোধী শিবির।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মধ্য এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে জার্মানি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/17/1726566020-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মধ্য এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে জার্মানি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/17/1426239" target="_blank"> </a></div> </div> <p>একাধিক জনমত সমীক্ষায় জার্মানির রক্ষণশীল শিবির শীর্ষ স্থানে রয়েছে। শোলজের জোট সরকারের তিন শরিক দলের প্রতি সম্মিলিত সমর্থনের তুলনায় সিডিইউ ও সিএসইউ দল বেশি মানুষের সমর্থন পাচ্ছেন। অর্থাৎ এখনই নির্বাচন হলে সবচেয়ে শক্তিশালী দল হিসেবে সরকারের নেতৃত্ব দিতে পারে ইউনিয়ন শিবির। তবে নেতা হিসেবে ফ্রিডরিশ ম্যারৎস সেই জনপ্রিয়তার ফায়দা তুলতে পারছেন না। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী মাত্র ২৫ শতাংশ ভোটার তাকে দেশের আগামী চ্যান্সেলর হিসেবে দেখতে চান। অন্যদিকে শোলন ২১ শতাংশ সমর্থন পেয়ে তার তুলনায় সামান্য পিছিয়ে আছেন। অর্থাৎ প্রায় ৪৮ শতাংশ মানুষ দুজনের মধ্যে কাউকেই চান না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জার্মান স্থল সীমান্তে পুলিশি নিয়ন্ত্রণ জোরদার, অখুশি প্রতিবেশীরা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/16/1726487087-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জার্মান স্থল সীমান্তে পুলিশি নিয়ন্ত্রণ জোরদার, অখুশি প্রতিবেশীরা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/16/1426106" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মানুষের মন জয় করতে ম্যারৎস নিজে অভিবাসন ও অর্থনৈতিক নীতিকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিশেষ করে একাধিক আঞ্চলিক নির্বাচনে উগ্র দক্ষিণপন্থী এএফডি দলের বিপুল সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জনগণের অসন্তোষের ফায়দা তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে সমালোচকরা মনে করছেন। সম্প্রতি তিনি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে শোলজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, তার কিছু দাবি জার্মানি তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ফলে নেতা হিসেবে তার দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তার অনেক বেফাঁস মন্তব্য নিয়েও দলকে বারবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে।</p>