<p>উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রাগারকে ‘দ্রুতগতিতে’ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা তিনি ‘প্রতিকূল’ শক্তির বিরুদ্ধে দেশকে রক্ষার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>কিম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সামরিক গোষ্ঠীর বেপরোয়া সম্প্রসারণের কারণে তার বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্র একটি গুরুতর হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, যা এখন পারমাণবিকভিত্তিক হুমকিতে পরিণত হচ্ছে। </p> <p>আগের দিন সরকারের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক ভাষণে কিম বলেন, এই উন্নয়ন উত্তর কোরিয়াকে তার সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এশিয়ার দেশটি সামরিক বাহিনীসহ পারমাণবিক বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ ও প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করবে।</p> <p>কিমের এই বক্তব্য এমন সময় আসে, যখন পিয়ংইয়ং সম্ভবত আরো শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য নতুন প্ল্যাটফরম প্রকাশ করে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তারা আবারও দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে আবর্জনা বহনকারী বেলুন উৎক্ষেপণের চর্চা শুরু করেছে।</p> <p><strong>আক্রমণের হুমকি</strong><br /> এ ছাড়া উত্তর কোরিয়া জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিরক্ষা নির্দেশিকা স্বাক্ষরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, যা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি মোকাবেলায় মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রচলিত অস্ত্র একত্র করার লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে।</p> <p>উত্তর কোরিয়া বলেছে, এই নির্দেশিকা তার প্রতিপক্ষদের আক্রমণের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন, তারা দেশটিতে আক্রমণের ইচ্ছা পোষণ করে না। অন্যদিকে ২০২২ সাল থেকে উত্তর কোরিয়া তার অস্ত্র পরীক্ষার কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত করেছে। পাশাপাশি দাবি করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে হামলা চালানোর সক্ষমতা রাখে।</p> <p>স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার বর্তমানে প্রায় ৫০টি পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে, যদিও সঠিক সংখ্যা অজানা। পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। তাদের সর্বশেষ পারমাণবিক পরীক্ষা ২০১৭ সালে হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে, যা উত্তর কোরিয়া আক্রমণ মহড়া বলে অভিহিত করেছে।</p> <p>সূত্র : আলজাজিরা</p>