<p>মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইটা আর চালিয়ে যেতে পারলেন না সালভাতর শিলাচি। কোলন ক্যান্সারের কাছে আজ হার মেনেছেন ‘তোতো’ নামে পরিচিত ইতালিয়ান স্ট্রাইকার। ৫৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।</p> <p>১৯৯০ বিশ্বকাপে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন শিলাচি। সেবার ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেমিফাইনালে উঠেছিল ইতালি। শেষ চারে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যেতে হয় স্বাগতিকদের। দল হারলেও ইতালিয়ানদের হৃদয় জয় করে নেন শিলাচি। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৬ গোল করে গোল্ডেন বুট এবং গোল্ডেন বলের পুরস্কার পান তিনি।</p> <p>১৯৯০ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ইতালিয়ান ফুটবলে। তার বিদায়ে গভীর শোক জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, ‘একজন ফুটবল আইকন আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। একজন মানুষ যে ইতালি এবং বিশ্বের সব ক্রীড়া সমর্থকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। ৯০-তে জাতীয় দলের হয়ে এই স্ট্রাইকার অনেক জাদুকরী রাত উপহার দিয়েছে। আমাদের এই আবেগ দেওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।’</p> <p>ইতালির হয়ে ক্যারিয়ারে মাত্র ১৬ ম্যাচ খেলার সুযোগ পান শিলাচি। গোল করেছেন ৭টি। বিশ্বকাপের ৬ গোলের বিপরীতে বাকিটি নরওয়ের বিপক্ষে ১৯৯১ ইউরো বাছাই পর্বে করেছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে আগামী এক সপ্তাহ সিরি আর সব ম্যাচে ‘এক মিনিট নীরবতা’ পালন করার কথা জানিয়েছেন ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি গ্যাব্রিয়েল গ্রাভিনা। শিলাচিকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার প্রতীক হয়েছিল সে। ইতালিয়ান ফুটবলের ঐতিহ্যে চিরকাল তা স্মরণীয় থাকবে।’</p> <p>১৯৮২ সালে মেশিনার হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন শিলাচি। পরে জুভেন্টাস ও ইন্টার মিলানের হয়েও খেলেন তিনি। দুই দলের হয়ে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ সাফল্য উয়েফা কাপ (বর্তমানে ইউরোপা লিগ) জিতেছেন। জাপানের লিগে খেলা প্রথম ইতালিয়ান ফুটবলার তিনি।</p> <p>সাবেক সতীর্থর মৃত্যুতে শোকাহত হয়েছেন রবার্তো ব্যাজ্জিও। ইতালিয়ান ফুটবলের কিংবদন্তি বলেছন, ‘ইতালির হয়ে ১৯৯০ বিশ্বকাপের জাদুকরী রাতগুলোর অভিজ্ঞতা সব সময় আমার হৃদয়ে অঙ্কিত থাকবে। ইতালির ভাইয়েরা চিরকাল স্মরণ করবে।’</p>