<p>অনেকেই টক খেতে পছন্দ করেন। অনেকের আবার টকের প্রতি আড়ি। আড়ি থাকলেও মাঝে মাঝে টক ফল খেতে হয়। শরীরের প্রয়োজনেই টক খাওয়া জরুরি। টক ফল খাওয়ার সময় যদি একটু লবণ মাখিয়ে নেওয়া হয়, স্বাদ যেন বেড়ে যায় বহুগুণে। প্রশ্ন হলো, স্বাদ বাড়ানোই কি লবণ মাখানোর একমাত্র কারণ। </p> <p>লবণ মাখালে টক ফলের স্বাদ বাড়ে—এটা একটা কারণ বটে, তবে একমাত্র কারণ নয়। জেনে হোক বা না জেনে, কিছু বৈজ্ঞানিক কারণেই আমরা টক ফলে লবণ মাখাই।</p> <p>কাঁচা আম, মাল্টা, কাঁচা তেঁতুল, জলপাই, আমলকি—এগুলো সবই তীব্র টক স্বাদের। মুখে দিলেই যেন বৈদ্যুতিক শক লাগে। লবণ দিয়ে আসলে এই শক জাতীয় ব্যাপারটাই কমানো হয়। লবণ টক স্বাদকে কিছুটা ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলে এবং তীব্র টক স্বাদকে কমিয়ে দেয়। লবণের সোডিয়াম টক স্বাদের সংবেদনশীলতাকে দমন করে। ফলে টকের তীব্রতা কমে সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসে।</p> <p>মানুষের জিভের বিভিন্ন অংশে স্বাদ গ্রহণের জন্য আলাদা আলাদা রিসেপ্টর থাকে। লবণযুক্ত টক ফল খাওয়ার সময় জিভের টক রিসেপ্টরগুলোর পাশাপাশি লবণ রিসেপ্টরগুলোও সক্রিয় হয়। ফলে টক স্বাদকে কিছুটা প্রশমিত হয়, ফলটি খেতে আরও সুস্বাদু লাগে।</p> <p>লবণ টক ফলের সঙ্গে মিশে হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং পাকস্থলির অ্যাসিড নিঃসরণ করতে সাহায্য করে। ফলে খাবার দ্রুত হজম হয়।  ফলে  টক ফলের পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের দ্বারা আরও ভালোভাবে শোষিত হওয়ার সুযোগ পায়।</p> <p>টক ফলে খাওয়ার ফলে মুখে বাড়তি লালা নিঃসরণ হয়। লালা খাবার ভেঙে পেটের জন্য প্রস্তুত করে এবং হজমের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করে।</p> <p>সুতরাং, টকের সঙ্গে লবণের সহাবস্থান—আমাদের বিপাক প্রকিয়াকেই তরান্বিত করে। এটা শরীরের জন্য গুরত্বপূর্ণও বটে।</p> <p>সূত্র: হাউ ইট ওয়ার্কস</p>