<p>অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মসূচিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টি অগ্রাধিকার তালিকায় রাখার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর খোলা চিঠি পাঠিয়েছে পার্বত্য  চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন। </p> <p>সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম-এর নিকট এই খোলা চিঠি হস্তান্তর করা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="৩ জন নিহতের বিবৃতি ভুল ছিল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/25/1732543362-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>৩ জন নিহতের বিবৃতি ভুল ছিল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2024/11/25/1450538" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br />  <br /> পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী মানবাধিকার কর্মী জাকির হোসেন ও অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন সরকারের অভিযাত্রায় আমরা ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনার নতুন বাঁকে এসে দাঁড়িয়ে আছি। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের পর ২৬ বছর ধরে চুক্তির মূল উপাদানগুলি অবাস্তবায়িত রয়েছে, যা পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণ এবং সারাদেশের নাগরিকদের এক অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে। এই চুক্তির পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়ন শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যই নয়, বরং বাংলাদেশের সকল আদিবাসীদের মর্যাদা ও অধিকার সমুন্নত রাখা এবং একই সাথে দেশের জাতীয় ঐক্যের জন্য অপরিহার্য।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চিন্ময় কৃষ্ণ গ্রেপ্তার, প্রতিবাদে ডিবি কার্যালয়ের সামনে ধর্মীয় নেতারা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/25/1732544210-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চিন্ময় কৃষ্ণ গ্রেপ্তার, প্রতিবাদে ডিবি কার্যালয়ের সামনে ধর্মীয় নেতারা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2024/11/25/1450540" target="_blank"> </a></div> </div> <p>খোলা চিঠিতে ৭ দফা দাবি তুলে ধরে বলা হয়, এই চুক্তি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ভিত্তিক একটি সুস্পষ্ট ও কার্যকরী পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অব্যাহত সামরিক তত্ত্বাবধান এই অঞ্চলের শান্তি, অগ্রগতি ও উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করেছে। অপারেশন উত্তরণ প্রত্যাহার করে সামরিক তত্ত্বাবধান স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। ওই অঞ্চলটিকে চুক্তির বিধানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তার শাসন কাঠামো বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গণতান্ত্রিক, প্রতিনিধিত্বশীল স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা এবং পার্বত্য অঞ্চলের অন্যান্য চাহিদা মোকাবেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ এবং তিনটি জেলা পরিষদকে চুক্তি অনুসারে যথাযথ ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।</p> <p>চিঠিতে আরো বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ভূমি অধিকারের বিষয়টি অন্যতম সমস্যা। ভারত থেকে আগত পাহাড়ী শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনকে কার্যকর করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণকে দেশের মূলধারার অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অন্তর্ভুক্ত করতে চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধির জন্য এই অঞ্চলের অনন্য সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ঐতিহ্যকে সম্মানপূর্বক টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি নিতে হবে। সমতলভূমির জেলাগুলির প্রচলিত সকল স্থানীয় সরকারে আদিবাসীদের জন্য বিশেষ আসন সংরক্ষণ এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। সমতলের আদিবাসীদের জীবন, জমি ও জীবিকা সংক্রান্ত তাদের নির্দিষ্ট চাহিদা এবং চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় অবিলন্বে একটি পৃথক ভূমি কমিশন প্রতিষ্ঠা করার জন্য দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।</p>