<p>অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে একটি ক্যাম্পেইন চলছে। বিশেষ করে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং বিএএলের প্রপাগান্ডা সেলে তা হচ্ছে। আমি নাকি হিযবুত তাহরীর, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমি কখনো তাদের রাজনীতির সঙ্গে ছিলাম না। আমি তামিরুল মিল্লাত বা ঢাবির অন্য শিবিরকর্মীদের মতো ‘লাভ’ বা ‘সুবিধাবঞ্চিত’ হইনি। কিন্তু ক্যাম্পাসে ইসলামোফোবিয়া আর শিবির ট্যাগিংয়ের মুখোমুখি হতে হলো।”</p> <p>গতকাল শনিবার রাত ৮টায় তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাস দেন মাহফুজ। দীর্ঘ এই স্ট্যাটাসে তিনি ছাত্রজীবনে তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং বর্তমানে তাঁর অবস্থানের বিষয়ে পরিষ্কার করেছেন। </p> <p>তিনি বলেন, ‘এটা আমার স্ট্যাটাস। সাম্প্রতিক সময়ে আমার রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে যেসব বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে, তার জবাব এখানে আছে।’</p> <p>মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। আমি তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বছরে তাদের প্রগ্রামে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু আমি বাংলাদেশের জন্য তাদের আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম না।’</p> <p>ফেসবুক স্ট্যাটাসে মাহফুজ বলেন, “আমাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বলা হয়। বাস্তবতা হচ্ছে, আমি ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলাম না। কিন্তু ৫ জুন থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি সিদ্ধান্ত, ৯ দফা দাবিসহ আমার পরামর্শ ও ‘সমর্থন’ ছিল। পাঁচ বছর ধরে প্রায় সব অনুষ্ঠান ও বর্ণনা আমার হাতে লেখা। আমার সার্কেল বা আমি চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে বাঁচতে পারলে আপনি অবশ্যই সব কিছু জানবেন। দোয়া করবেন যেন আমরা সম্মানের জীবন যাপন করি অথবা শহীদ হই (শহীদান)।”</p> <p>তিনি বলেন, ‘আমি একজন মুমিন এবং একজন বাঙালি মুসলিম। আমি ইসলামবাদী বা ধর্মনিরপেক্ষবাদী মতাদর্শকে সমর্থন করি না। এই অঞ্চলে একটি সভ্য রূপে রূপান্তরিত রাষ্ট্র এবং সমবেদনা এবং দায়বদ্ধতা আদর্শের ওপর ভিত্তি করে একটি সমাজের জন্য আমার একটি ভিশন আছে। নিপীড়িত বহুজনের ব্যক্তিগত ও যৌথ আকাঙ্ক্ষা রাষ্ট্রের নীতিতে অনুবাদ করার উপায় খুঁজে পাবে।’</p> <p>মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমি কবর বা মাজার পূজারি নই। আমি বিভিন্ন তারিকদের সুফি ও ওলামাদের পূজা করি। কৈশোরে ও পরে অনেক ওলামা ও পীরের সঙ্গে বসবাস ও যোগাযোগ করেছিলাম। এবং এখনো তাঁদের সঙ্গে আমার একটি সংযোগ আছে। তাঁরা আমাকে রাসূল (সা.)-এর প্রেমে কবুল করেছেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আবার আমি আপস করা এবং ফ্যাসিবাদ সক্রিয় করা পছন্দ করি না। আমি ওই সব সুফি ও আলেমকে ভালোবাসি, যাঁরা হকের পক্ষে থাকেন (সত্য ও অধিকারের পক্ষে)। আমার মনে হয়, এই কবর ধ্বংসকারী সত্যিই বাঙালি মুসলিম ও বাংলার সাধারণ আকাঙ্ক্ষা ও ঐতিহাসিক উত্তরাধিকারের বিরুদ্ধে।’</p>