<p>চা-বিস্কুট খাওয়া খাওয়া আমাদের অনেকেরই নিত্যদিনের অভ্যাস। অনেকেরই জানা নেই চা এবং বিস্কুট একসঙ্গে খেলে বিপদ হতে পারে। আজকের প্রতিবেদনে জানাব এমন কিছু কথা। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।</p> <p>সকাল বা বিকেল যখনই আমরা চা খাই, তার সঙ্গে বিস্কুট থাকেই। খালি পেটে কেউই চা খেতে চান না। তাই চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়াটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। বাড়িতে মেহমান এলেও আমরা চায়ের সঙ্গে বিস্কুট দিয়ে থাকি। কিন্তু এই বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাস অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছে না তো?</p> <p>বিশেষজ্ঞদের মতে, চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাসকে মোটেই ভালো না। বিশেষ করে কিছু কিছু মানুষের জন্য এটি একেবারেই ভালো নয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক তারা কারা এবং কী সমস্যা হতে পারে।</p> <p><strong>হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে</strong></p> <p>বেশিরভাগ বিস্কুট তৈরিতে ব্যবহার করা হয় পাম তেল। এই তেল হার্টের মারাত্মক ক্ষতি করে। এর ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা অনেক খানি বেড়ে যেতে পারে। তাই যাদের ইতিমধ্যেই হার্টের সমস্যা আছে তাদের বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করার কথা বলেন চিকিৎসকরা।</p> <p><strong>পেটের সমস্যা বাড়ে</strong></p> <p>বিস্কুটের মূল উপাদান হল ময়দা। ময়দার মধ্যে থাকা গ্লুটেন, বিভিন্ন মাইক্রো ও ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টস রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, দেখা দেয় হার্টের সমস্যাও। সবচেয়ে বড় কথা, এর ফলে হজমের নানা সমস্যা দেখা গিতে পারে। তাই এটি এড়িয়ে চলা উচিত।</p> <p><strong>রক্তচাপ বৃদ্ধি</strong></p> <p>বিস্কুটে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রিজারভেটিভ ও সোডিয়াম, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। বিশেষ করে এই সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। যারা নিয়মিত প্রেশারের ওষুধ খান, তাদের বিস্কুট খাওয়া কমানো উচিত।</p> <p><strong>ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়ে</strong></p> <p>যারা ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য বিস্কুট খুব ক্ষতিকারক হতে পারে। এতে থাকা পরিশোধিত চিনি রক্তে সুগারের মাত্রা মারাত্মক বাড়িয়ে দেয়। এটি সমস্যার কারণ হতে পারে।</p> <p><strong>ডিএনএ ও হরমোনের সমস্যা</strong></p> <p>বিস্কুটের নানা উপাদান এবং এর তেল ডিএনএ ও হরমোনের নানা সমস্যা ডেকে আনতে পারে। এগুলো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফলে বিস্কুট খাওয়া কমানোই ভালো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।</p> <p>মনে রাখবেন, সব খাবার সকলের শরীরে সমান প্রভাব ফেলে না। তাই যেকোনো ধরনের সমস্যায় সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাছাড়া আপনি কতটা বিস্কুট খাবেন বা বিস্কুট আপনার জন্য আদৌ ভালো কি না, সেটিও চিকিৎসকের থেকেই জেনে নিন।</p> <p>সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস</p>