<p>রাজধানী ঢাকার বাবুবাজার এলাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা মূল্যমানের নিবন্ধনহীন নকল ওষুধ জব্দ করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। একই সঙ্গে সন্ধান মিলেছে নকল প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট ও খোলা কনডম প্যাকেটজাত করার কারখানার। নকল কিট ও কনডম প্যাকেটজাত করার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।</p> <p>শনিবার (১ জুন) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে এসব নকল ওষুধ ও অবৈধ কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।</p> <p>নিবন্ধনহীন ওষুধ জব্দের ঘটনায় ওষুধ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক রোমেল মল্লিক। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাবুবাজারের আবদুল আলিম মার্কেটে একটি কারখানায় দুপুর আড়াইটা থেকে ডিবি ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে দেখা গেছে, কারখানাটিতে নকল প্রেগন্যান্সি কিট তৈরি করা হতো। এ ছাড়া খোলা বাজারের কনডম এখানে প্যাকেটজাত করা হতো। অভিযানে বিপুল পরিমাণে নকল প্রেগন্যান্সি কিট ও খোলা কনডম জব্দ করা হয়েছে।’</p> <p>অভিযান সূত্রে জানা গেছে, ৬ প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০ লাখ টাকার নকল ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে নাঈম ফার্মেসি থেকে ২৯ ধরনের, শাকিল ব্রাদার্স থেকে ১৭ ধরনের, সাহরা ড্রাগস থেকে ৪৬ ধরনের, রাজীব এন্টারপ্রাইজ থেকে ১৭ ধরনের, আল আকসা মেডিসিন থেকে ১১ ধরনের ও আলাউদ্দিন মেডিসিন থেকে ১৭ ধরনের নিবন্ধনহীন নকল ওষুধ জব্দ করা হয়।</p> <p>ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক রোমেল মল্লিক বলেন, এসব ওষুধের আনুমানিক মূল্য ৩০ লাখ টাকার বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওষুধ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। </p> <p>ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আশরাফ হোসেন বলেন, নকল প্রেগন্যান্সি কিট প্যাকেটে ভরা অবস্থায় পাওয়া গেছে। এসব প্রেগন্যান্সি কিট ব্যবহারীদের সঠিক তথ্য দেয় না। যে কারণে ব্যবহারকারী নারীদের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতে পারে।</p> <p>আশরাফ হোসেন বলেন, প্রেগন্যান্সি কিট তৈরি করার ক্ষেত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন নিতে হয়। ওই প্রতিষ্ঠানটির কোনো অনুমোদন নেই। একই সঙ্গে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের একটি বিষয় এখানে থাকতে হয়, যা ছিল না। খোলা কনডমগুলো কোথা থেকে তারা এনেছে তা জানা যায়নি।</p>