<p>বয়স জালিয়াতি করে আইন কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি এবং আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবিদের সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জে মানববন্ধন করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।  </p> <p>রবিবার (২৪ নভেম্বর) সিরাজগঞ্জ আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে জাতীয়তাবাদী সচেতন আইনজীবী সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।</p> <p>এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপিপন্থী আইনজীবী এ্যাড. আব্দুল হাকিম, এ্যাড. মঞ্জুরুল ইসলাম, এ্যাড. শহিদুল ইসলাম শহিদ, এ্যাড. আনিসুর রহমান ও কামরুল ইসলাম প্রমুখ।</p> <p>জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত নিয়োগ পাওয়া আইন কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগপন্থী আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, আইন কর্মকর্তা হতে হলে তাকে অবশ্যই নিজ পেশায় পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অথচ ২০২১ সালে আইনজীবী সনদ পেয়েছেন এমন আইনজীবিদের জালিয়াতি করে ২০১৮ সাল দেখিয়ে আইন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগপন্থী বেশ কয়েকজনকে আইন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।</p> <p>সংশ্লিষ্টরা জানায়, ১৮ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের (জিপি-পিপি শাখা) উপ-সলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত পত্রে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও তার অধীন আদালতে এবং নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে ৫৪ জন সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। এ তালিকায় ২০২১ সালে সনদ পাওয়া আইনজীবী মো. নাদিম ইবনে মোস্তফা এবং খন্দকার আব্দুল মতিনের বয়স জালিয়াতি করে তালিকায় ২০১৮ সাল দেখানো হয়েছে। এই দুইজন নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল (১) ও (২) আদালতে এপিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। </p> <p>এ ছাড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়োগ পাওয়া এপিপি রফিক আকন্দ ছাড়াও আরো কয়েকজন আইনজীবী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন।</p> <p>সদ্য নিয়োগ পাওয়া পিপি শাকিল মোহাম্মদ শরিফুর (রফিক সরকার) বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলায় নিয়োগ পাওয়া সরকারি আইন কর্মকর্তারা সবাই জামায়াত ও বিএনপির সমর্থক। যাদের বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে তাদের ব্যাপারে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে ডিমান্ড নোট দেওয়া হবে।</p>