<p>চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থেকে লুট হওয়া একটি নাইন এম এম পিস্তল ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) পুকুরে জাল দিয়ে তল্লাশি এবং পাহাড়ের মাটি খুড়ে এগুলো উদ্ধার করা হয়।</p> <p>এ সময় থানা লুটে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পুলিশের পোশাক, একটি ওয়াকি-টকি, মোবাইল, ঘড়ি ও দুইটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ। </p> <p>গ্রেপ্তার দুজন হলেন মাহবুব রহমান ও নুর নবী। দুজনই চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। </p> <p>পাহাড়তলী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পাহাড়তলী এলাকা থেকে প্রথমে মাহাবুবকে আটক করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে সাগরিকা বিটাক মোড় এলাকায় ব্রাহ্মণ পুকুরে জাল ফেলে দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো আমাদের থানার মোটরসাইকেল।</p> <p>এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নুর নবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জানায়, ইস্পাহানি রেলগেটের উত্তরে পাহাড়ের মাটির নিচে একটি অস্ত্র রাখা আছে। পরে তাদের নিয়ে একটি নাইন এম এম পিস্তল উদ্ধার করা হয়।</p> <p>পুলিশ কর্মকর্তা কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগের মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পুলিশের একটি নাইন এম এম পিস্তল, এক সেট ইউনিফর্ম, দুইটি হাত ঘড়ি, পাঁচটি মোবাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। পাহাড়তলী থানা থেকে লুট হওয়া আটটি পিস্তল, দুটি চাইনিজ রাইফেল, তিনটি এসএমজি, ছয়টি শটগান ও ৩৩টি মোটরসাইকেলের কোনো হদিস মেলেনি। সেগুলো উদ্ধারে অভিযান চলছে।</p>