<p>কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের প্রস্তুতিকালে ৩ নারী, ৯ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় চার দালালকে আটক করেছে পুলিশ।</p> <p>টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী বাজার এলাকা সংলগ্ন সুপারি বাগান থেকে রবিবার (৩ নভেম্বর) রাতে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা উখিয়ার কতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা।</p> <p>পাচারে জড়িত ৪ জন হলো নুরুল আমিন (২৫), নুরুল আফসার (১৯), মিনহাজ উদ্দিন (২০) ও মো. আল আমিন (২৪)। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন টেকনাফের বাসিন্দা, অন্যজন নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বাসিন্দা।</p> <p>টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>তিনি জানান, রবিবার গভীর রাতে মানব পাচারকারী একটি চক্র টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে জমায়েত করে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে লম্বরী এলাকায় ফয়সালের সুপারি বাগান থেকে ৯ শিশু ও ৩ নারীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় চার দালালকে আটক করা হয়।</p> <p>উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা পুলিশকে জানায়, তাদের অধিক বেতনে চাকুরি ও অবিবাহিত নারীদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়া পাঠাতে চেয়েছিল। তাদের ৩/৪ দিন ধরে ধাপে ধাপে ওই সুপারি বাগানে এনে পাচারের জন্য জড়ো করা হয়।</p> <p>পুলিশ জানায়, মানব পাচারে জড়িত রয়েছেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মো. কাশেমের নুরুল আমিন, একই এলাকার কেফায়েত উল্লাহর ছেলে নুরুল আফসার, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জাদিমুরা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন ও নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা এলাকার রফিক সরকারের ছেলে মো. আল আমিন। এ ঘটনায় জড়িত আরো ১১ জন পলাতক রয়েছেন। এরা দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচার সিন্ডিকেট গড়ে বাঙ্গালী ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।</p>