<p>ফেনীর সোনাগাজীর আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলা নিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে সাত পুলিশের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকায় বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ফেনীর সোনাগাজী আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমান আবেদনটি খারিজ করেন।</p> <p>এর আগে গত বুধবার একই আদালতে নুসরাত হত্যা মামলায় আসামিদের কাছ থেকে ৭৭ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ এনে পিবিআইয়ের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন দণ্ডিত আসামি ইমরান হোসেন মামুনের মা নুরনাহার বেগম। মামলায় পিবিআইয়ের সাবেক ডিআইজি বনজ কুমার, ওসি শাহ আলম, সন্তোষ চাকমা পিবিআই চট্টগ্রাম, পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, পিবিআই উপ-পরিদর্শক রতেপ চন্দ্র দাস ও লুৎফর রহমান সহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/23/1729700372-e0169c534a2daa81c689caab73b08396.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/10/23/1438428" target="_blank"> </a></div> </div> <p>উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় তার মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করলে অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলা তুলে না নেওয়ায় ওই বছরের ৬ এপ্রিল মাদরাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ নুসরাতের মৃত্যু হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ফেনীর সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্ল্যাহকে ৫ দিনের রিমান্ড" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/23/1729697584-8c5207603e62134846eef32171bd9a9b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ফেনীর সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্ল্যাহকে ৫ দিনের রিমান্ড</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/10/23/1438390" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ২৮ মে পিবিআই তদন্ত শেষে মাদরাসার অধ্যক্ষসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ৮৬৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে। মাত্র ৬১ কার্যদিবসে মামলার কার্যক্রম শেষ হয়। একই বছরের ৮৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর রায়ে ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।</p>