<p>জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার তালোড়া বাইগুনী গ্রামে পারিবারিক শত্রুতার জেরে এক দরিদ্র কৃষকের ১৫ শতক জমির শিমগাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ছানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার (২৩ অক্টোবর) ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি এলাকার মানুষের মনেও গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। বিচার না পেলে ওই অসহায় কৃষকের অবস্থা আরো শোচনীয় হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।</p> <p>ভুক্তভোগী কৃষক রেজোয়ান ফকির এ ঘটনায় কালাই থানায় ছানোয়ারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালাই থানার ওসি জাহিদ হাসান।</p> <p>ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রেজোয়ান ফকির তালোড়া বাইগুনী গ্রামের আরশেদ আলী ফকিরের ছেলে। তিনি অন্যের জমি বর্গা নিয়ে কোনোরকমে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। সেই জমিতেই শিম চাষ করে পরিবারের খাবার জোগানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু এখন জমির বর্গার টাকা, বীজ, সার ও কীটনাশকের খরচ পরিশোধ নিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।</p> <p>আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার চাষ করা জমিতে এসে শিমগাছের শুকিয়ে যাওয়া ডাল ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেজোয়ান ফকির। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বাজারে শিমের দাম খুব ভালো। দুই দিন আগে ২০ কেজি শিম বিক্রি করেছি ১৮০০ টাকায়। দু-তিন দিনের মধ্যেই আরো ৪০-৫০ কেজি শিম বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু ছানোয়ার আমার সর্বনাশ করল। আমি বয়স্ক মানুষ, কাজ করতে পারি না। এত বড় সর্বনাশ কেন করল সে? আমি এর বিচার চাই।’ </p> <p>রেজোয়ানের অভিযোগ, কিছুদিন আগে বাড়ির পাশের একটি ড্রেন নিয়ে ছানোয়ার হোসেনের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। সেই ঘটনার জের ধরেই ছানোয়ার তার শিমক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছে। ক্ষেতে ফুল আর শিম ধরতে শুরু করেছিল, কিন্তু এখন সব শেষ। রেজোয়ানের কাছে বর্গা, সার-কীটনাশকসহ প্রায় ৫০ হাজার টাকা ঋণ রয়েছে, যা পরিশোধের কোনো উপায়ই আর তার নেই।</p> <p>অভিযুক্ত ছানোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধ থাকতেই পারে, তাই বলে কি ফসল নষ্ট করব? আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ </p> <p>কালাই থানার ওসি জাহিদ হাসান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>