<p>বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর খালের ওপর সোয়া চার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি গার্ডার সেতুর কাজ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। যা ১৯ মাসে নির্মাণ করার কথা ছিল। অভিযোগে বলা হচ্ছে, অধিকাংশ টাকা তুলে লাপাত্তা হয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। </p> <p>অভিযোগ রয়েছে, সেতু নির্মাণ ব্যয়ের অধিকাংশ টাকা ঠিকাদার তুলে নিয়েছেন। কাজ বাতিলের জন্য চিঠি দেওয়া হলেও সাড়া নেই ঠিকাদারের। অসমাপ্ত অবস্থায় সেতুর কাজ এভাবে বছরের পর বছর পড়ে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পোশাক নিয়ে বির্তক, যা বললেন জেসিয়া" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/16/1729077980-7644a22374d4243298913d7626f7f584.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পোশাক নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন জেসিয়া</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2024/10/16/1435787" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার গাজীপুর বন্দরসংলগ্ন গাজীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার পূর্ব পাশে গাজীপুর খালের ওপর ২০১৯ সালে চার কোটি ২৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৮ টাকা ব্যয়ে ৪৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও সাড়ে সাত মিটার প্রস্থের একটি গার্ডার সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ওই সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় পটুয়াখালীর মেসার্স আবুল কালাম আজাদ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। </p> <p>ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আবুল কালাম আজাদ চুক্তি করে কাজটি বিক্রি করেন পটুয়াখালীর আরেক ঠিকাদার তানভির আহম্মেদ দিপুর কাছে। কার্যাদেশে সেতুটির নির্মাণ সময় ধরা হয় ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ১৯ মাসে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার গাফিলতি করে গত পাঁচ বছরেও শেষ করেননি। নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার দুই দফা সময়ও বাড়িয়ে নিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুনে শেষ করার কথা থাকলেও এরপর আর সময় না বাড়িয়ে কাজটি ফেলে রেখে লাপাত্তা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="উচ্চ রক্তচাপ কমানোর দশ উপায়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/16/1729076365-52cc7ab2aa4c4b5d0177ec10c9cdd652.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>উচ্চ রক্তচাপ কমানোর দশ উপায়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/10/16/1435781" target="_blank"> </a></div> </div> <p>নির্মাণকাজটি ফেলে রাখায় বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। ওই নোটিশে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়ে কাজ শুরু করার জন্য বলা হয় এবং কাজ শুরু না করলে কার্যাদেশ বাতিল বলে গণ্য করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ওই চিঠির জবাব প্রদানের সময় অতিবাহিত হলেও ঠিকাদার কোনো সাড়া দেননি। </p> <p>অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার খালের দুই পাড়ের অ্যাপার্টমেন্ট, দুটি পিয়ার ও একটি স্লাবের কাজ করে দুই কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার ১৮ টাকার বিল তুলে নিয়েছেন।</p> <p>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, সেতু নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। সেতুতে নিম্নমানের খোয়া, রড এবং পরিমাণের চেয়ে কম সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় এখন খাদ্যের দাম কেমন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/16/1729078584-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় এখন খাদ্যের দাম কেমন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/10/16/1435789" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গাজীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুমা বলেছে, ‘নতুন সেতুর কাজ শুরু করে ফেলে রাখা হয়েছে। তাই আমাদের অনেক পথ ঘুরে মাদরাসায় আসতে হয়। এতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। কষ্টের কারণে অনেক শিক্ষার্থী প্রতিদিন মাদরাসায় না আসায় তাদের লেখাপড়ায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে।’ </p> <p>গাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাফিন বলেন, কবে ওই নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে আমরা জানি না। তবে সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় আমাদের বাড়ি থেকে প্রতিদিন তিন কিলোমিটার পথ ঘুরে গাজীপুর বন্দরের সেতু পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়।</p> <p>দ্রুত সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানিয়ে, গাজীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, নতুন সেতু নির্মাণের জন্য পুরনো লোহার সেতুটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। পাঁচ বছর ধরে ঠিকাদার নতুন সেতুর নির্মাণকাজও ফেলে রেখেছে। এতে মাদরাসায় শিক্ষার্থী আসা কমে গেছে। </p> <p>সেতু নির্মাণের সাব ঠিকাদার তানভির আহম্মেদ দীপু বলেন, ‘বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে, আশা করি, দু-তিন মাসের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করতে পারব।’ নির্মাণকাজে অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, শিডিউল অনুযায়ী যথাযথভাবে নির্মাণকাজ করা হচ্ছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাকিবকে রেখেই বাংলাদেশের টেস্ট দল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/16/1729078560-c4a7ac9fae46383349c14db7b985881c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাকিবকে রেখেই বাংলাদেশের টেস্ট দল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/sport/2024/10/16/1435788" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সেতু নির্মাণের মূল ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, কাজটি চুক্তি করে অন্য এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তিনি কেন এখনো নির্মাণকাজটি সম্পন্ন করেননি তা তিনি জানেন না। </p> <p>আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. ইদ্রিস আলী বলেন, সেতুর নির্মাণকাজ ফেলে রাখায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে শোকজ করা ও নির্মাণকাজের কার্যাদেশ বাতিলের জন্য বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।</p> <p>বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান খান বলেন, ঠিকাদার সেতুর নির্মাণকাজ না করে ফেলে রাখায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার কোনো সাড়া না পাওয়ায় তার কার্যাদেশ বাতিল করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। </p> <p>বিল বেশি নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদারকে বিল প্রদান করা হয়েছে। কাজের চেয়ে বেশি বিল দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।</p>