<p>প্রায় এক যুগ আগে বগুড়া শহরের সাবগ্রাম কমান্ড প্লাজার সামনে হত্যা করা হয় জামায়াতকর্মী মিজানুর রহমানকে। এবার সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে বগুড়া সদর থানায় নিহত মিজানুরের বন্ধু মোছাদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে এ হত্যামামলা করেন। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।</p> <p> শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন। </p> <p>নিহত মিজানুর রহমান কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সরকারবাড়ী গ্রামের আবু কালাম সরকারের ছেলে। তিনি বগুড়ায় মুরগির হ্যাচারিতে কাজ করতেন এবং পৌরসভার সাবগ্রাম মাস্টারপাড়ায় থাকতেন। সে সময় তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।</p> <p>মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, দপ্তর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল রাজী জুয়েল, বগুড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহিম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাশরাফী হিরো, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাসসহ আরো অনেকে।</p> <p>এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আনুমানিক দুপুর পৌনে ১টার দিকে বগুড়া শহরের সাবগ্রাম কমান্ড প্লাজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিজানুর রহমান। এ সময় আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিজানুরকে ঘিরে ধরেন। ১ নম্বর আসামির হুকুমে ৫ নম্বর আসামি সম্পদ পশারী হত্যার উদ্দেশ্যে বার্মিজ চাকু দিয়ে মিজানুরের পেটে আঘাত করেন। পরে ৬ নম্বর আসামি সঞ্জু সরকার হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। অন্য আসামিরা লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।</p> <p>বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, ২০১৩ সালে মিজানুর হত্যাকাণ্ডের সময় তার বন্ধু মোছাদ্দিকুর রহমান সঙ্গে ছিলেন। তাই মোছাদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>