<p style="text-align:justify">২০ বছরেও শুরু হয়নি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সহসভাপতি ও স্থানীয় দুর্জয় বাংলা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক দীপংকর চক্রবর্তী হত্যা মামলার বিচারকাজ। এমনকি এই মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণও শুরু হয়নি। </p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, ২০০৪ সালের ২ অক্টোবর কাজ শেষে বগুড়ার শেরপুরে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বাড়ির কাছে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন সাংবাদিক দীপংকর চক্রবর্তী। ওই ঘটনায় নিহত সাংবাদিকের বড় ছেলে পার্থ সারথী চক্রবর্তী বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। </p> <p style="text-align:justify">মামলাটি দীর্ঘ সময় পুলিশ, ডিবি ও সিআইডি তদন্ত করে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ডিবি পুলিশ ওই হত্যাকাণ্ডে ইসলামী জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সম্পৃক্ততার বিষয়টি সামনে আনে। দেশের আলোচিত জঙ্গি হামলা হলি আর্টিজেনের অন্যতম আসামি রাজীব গান্ধী এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। </p> <p style="text-align:justify">২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি এই মামলায় একমাত্র জীবিত আসামি ও হলি আর্টিজেন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহঙ্গীর আলম ওরফে নাসির ওরফে রাজীব গান্ধি ওরফে শান্ত ওরফে টাইগার ওরফে আদিল ওরফে জাহি ওরফে জাকির ওরফে আবু ওমর আল বাঙাল (৩৯)কে অভিযুক্ত করে বগুড়া ডিবি পুলিশের এসআই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। </p> <p style="text-align:justify">অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত অন্য ৩ আসামি সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে ওরফে বাংলা ভাই ও শায়খ আব্দুল আউয়াল ওরফে আরাফাত এবং ফজলে রাব্বি ওরফে মাজেদুর রহমান ওরফে ছানাউল্লাহ্ ছিল। কিন্তু তারা বিভিন্ন মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়ায় তাদেরকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। </p> <p style="text-align:justify">মামলার আইনজীবী বিনয় কুমার দাস বিশু জানান, এই মামলাটি বিচার নিষ্পত্তির জন্য দায়রা মামলা হিসেবে অতিরিক্ত ৫ নম্বর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে। বিচারের জন্য প্রাপ্তির পর দীর্ঘ ৬ বছর অতিবাহিত হতে চললেও এই মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি।</p>