<p>চট্টগ্রামের রাউজান থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তা ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার অভিযোগে পাঁচ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে আগে থেকে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যানে ডিম নিক্ষেপ করে।</p> <p>আজ সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুনের আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে ফজলে করিমের আবেদনে আদালত তাঁর চিকিৎসা এবং কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দেন।</p> <p>এর আগে নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে আজ সকাল সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুরো আদালতজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল। </p> <p>চট্টগ্রামে জেলা কোর্ট পরিদর্শক জাকির হোসেন দুই দিনের রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাউজানের নোয়াজিশপুর মুনিরিয়া যুব তাবলিগ কমিটির কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। </p> <p>জানা গেছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, ইবাদতখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, নগদ অর্থ, প্রয়োজনীয় দলিলপত্র ও সম্পদ লুট, অগ্নিসংযোগ, হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগে গত ২৩ ও ২৫ আগস্ট রাউজান থানায় দুটি মামলা হয়। ওই দুটি মামলা করেছিলেন মুনিরীয়া যুব তবলিগ কমিটি বাংলাদেশের ১০৩ নম্বর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন ও ২০৪ নম্বর শাখার সহসভাপতি মো. জোহেল উদ্দিন। পরে তাকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্করের আদালতে তোলা হয়। এ সময় তাকে পাঁচলাইশ, চকবাজার ও চান্দগাঁও থানার তিন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। <br />  <br /> ফজলে করিম চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে হেলিকপ্টারযোগে তাকে চট্টগ্রামে আনা হয়। সরকার পতনের পর ফজলে করিমের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, সংঘর্ষসহ নানা অভিযোগে চট্টগ্রামের রাউজান, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, কোতোয়ালি থানায় কমপক্ষে ১০টি মামলা হয়েছে। </p>