<p>পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানাগারে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে আর্থিক অনুদান পেতে ইউএনওর ছিল ও স্বাক্ষর নকল করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ভুয়া প্রত্যয়ন বানিয়ে সেখানে ইউএনওর জাল স্বাক্ষর দিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে পাঠান তিনি।</p> <p>অভিযুক্ত সঞ্জয় কুমার বড়াল উপজেলার ৫ নম্বর জলাবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব জলাবাড়ী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক। </p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য আর্থিক অনুদান পেতে সরকারি লোগো সম্বলিত প্যাড ও ভুয়া প্রত্যায়ন বানিয়ে সেখানে ইউএনওর সীল ও স্বাক্ষর বসিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে পাঠান সঞ্জয় কুমার। এক পর্যায়ে ঘটনাটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানতে পেরে ইউএনও মনিরুজ্জামান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক রিপোর্ট জমাদানের নির্দেশ দেন। </p> <p>মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ইউএনওকে লিখিতভাবে অবহিত করেন। অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।<br />  <br /> উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তদন্তে সঞ্জয় কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমানিত হয়েছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</p> <p>উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরুজ্জামান বলেন, সঞ্জয় কুমারের প্যাড, লোগো, সীল ও স্বাক্ষর নকলের বিষয়টি জানতে পেরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য বলা হয়েছিল। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার রিপোর্টে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।</p>