<p>দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বিভিন্ন ক্যাম্পে কর্মরত ৪০ আনসার সদস্যকে ছুটিতে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া তাদের কাছে থাকা বিপুলসংখ্যক অস্ত্র (শটগান) ও গুলি (বুলেট) জমা নেওয়া হয়েছে। আনসার আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নেওয়া প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মধ্যপাড়া পাথরখনির ১৮ জন, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আটজন এবং বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৪ জনকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা ৭৮টি শটগান ও ৭৮০ রাউন্ড বুলেট (৩৯০টি রাবার ও ৩৯০টি শিসার বুলেট) জমা নেওয়া হয়েছে। জমা নেওয়া অস্ত্র ও বুলেটের মধ্যে মধ্যপাড়া পাথরখনির ৩২টি শটগান ও ৩২০ রাউন্ড বুলেট, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ২৬টি শটগান ও ২৬০ রাউন্ড বুলেট, উপজেলা আনসার অফিসের ছয়টি শটগান ও ৬০ রাউন্ড বুলেট, বাফার গোডাউনের চারটি শটগান এবং ৪০ রাউন্ড বুলেট, পল্লী বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের চারটি শটগান ও ৪০ রাউন্ড বুলেট এবং রেলহেড অয়েল ডিপোর চারটি শটগান ও ৪০ রাউন্ড বুলেট রয়েছে। </p> <p>এ ব্যাপারে পার্বতীপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা নাসিম হোসেন বলেন, আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</p> <p>দিনাজপুরের জেলা কমান্ডেন্ট হাসান আলী জানান, জেলার বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ২১৭টি অস্ত্র এবং দুই হাজার ১৭০টি বুলেট জমা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জড়িতদের ক্যাম্প থেকে প্রত্যাহার করে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>