<p>বগুড়ার শেরপুরে হিন্দুদের বাসা-বাড়ি ও মন্দির পাহারা দিচ্ছেন জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। গত দুই সপ্তাহ ধরে পৌর এলাকা ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতি রাতে পালা করে এই পাহারা বসিয়েছেন তারা। </p> <p>গতকাল শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ওইসব মন্দির কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন দলটির নেতারা। এ সময় মন্দিরের পুরোহিতদের আশ্বস্ত করা হয়। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী সব সময় ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের পাশে রয়েছে বলেও জানান। </p> <p>ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর মন্দির বা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে এভাবেই তাদের পাশে দাঁড়ান জামায়াত নেতারা। </p> <p>শহরের শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গণে ওই মতবিনিময়সভায় শেরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় উপজেলা শাখা জামায়াতের আমির মাওলানা দবিবুর রহমান, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল হক, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মোস্তাফিজ নাসিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।  </p> <p>এর আগে শহরের একাধিক মন্দির পরিদর্শন করে ওই মন্দিরে মতবিনিময়সভায় মিলিত হন তাঁরা। সভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্দির কমিটির নেতা প্রদীপ কুমার কুণ্ডু, বলয় কর্মকার, রকি ঘোষ, রঞ্জন কুণ্ডু, সনদ কুমার, রকি মোহন্তসহ অনেকে।</p> <p>মতবিনিময়সভায় জামায়াত নেতা মাওলানা দবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। পাশাপাশি আমরা মনে করি, সংখ্যালঘু বলে দেশে কিছু নেই। সবাই দেশের নাগরিক। অধিকারও সমান। তাই জামায়াতের দলীয় নেতাকর্মীদের হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে অনুুযায়ী শিবির ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা হিন্দুদের বাসা-বাড়ি ও মন্দিরগুলোতে পাহারা বসিয়েছেন। নির্বিঘ্নে বসবাস ও তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করবেন, তাতে কোনো সমস্যা নেই।</p>