<p style="text-align:justify">নাশকতা ও অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, পুলিশের উপর হামলা, ভাংচুরে ঘটনায় ২২টি মামলায় ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। রংপুর নগরী কঠোর নিরাপত্তায়। নগরীতে চলছে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশের টহল। শহরের গুরুত্বপুণ এলাকায় সেনাবাহিনী চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাসি করছে। সকাল থেকে চলছে শিথিল কারফিউ।</p> <p style="text-align:justify">রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করছে প্রশাসন। এর ফলে মানুষের চলাফেলা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। আট জেলাগুলো হলে- রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাওঁ ও পঞ্চগড় চলছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কারফিউ শিথিল।</p> <p style="text-align:justify">রংপুর সিটি মার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল খালেক জানান, গত কয়েকদিনের চেয়ে বেচাকেনা অনেক বাড়ছে। মানুষ বাজারে আসছে। যেহেতু  কারফিউ ১৬ ঘন্টা শিথিল করছে সরকার। এর ফলে দীর্ঘ সময় পারছে মানূষ বাজার করতে। বাজার করে সময় মতো বাড়ি যেতে পারছে।</p> <p style="text-align:justify">পৌরবাজার করতে আসা শফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানাই, অনেক বড় ঘটনাকে সমাধান করছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মাঠে নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। মানুষ শান্তি মত বাসা-বাড়িতে থাকতে পারছে। বাজার করতে কেন সমস্যায় পরতে হচ্ছে না। তবে অতিদ্রæত কারফিউ দেশ থেকে তুলে নেওয়ার দাবি করছি।</p> <p style="text-align:justify">রংপুর মহানগর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শাহ মো: আশরাফুদৌলা আরজু জানান, কারফিউ ১৬ ঘণ্টা শিথিল করায় বেচা কেনা অনেক বাড়ছে। দুর-দুরান্ত থেকে ক্রেতা-মাকেটে আসছেন। নিরাপদে মানুষ মার্কেট করে বাড়ি ফিরতে পারছেন। যেহেতু আইশৃঙ্খলাবাহিনী মাঠে কাজ করছেন।</p> <p style="text-align:justify">কারফিউ শিথিল থাকায় নগরীতে স্বস্তি ফিরে আসছে মানুষের মাঝে। মহানগরীর গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টের তল্লাসি করছে আইনশৃঙ্খাবাহিনী। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশের নাশকতা মামলায় অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। জেলা ও মহানগরীতে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে। নগরীতে চলছে অটো ও ইজিবাইক।</p> <p style="text-align:justify">রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, নাশকতা ও অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, পুলিশের উপর হামলা, ভাংচুরে ঘটনায় ২২টি মামলায় ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। যারা এই ঘটনায় জড়িত ও নাশকতাকারী তাদের ছাড় নেই। এ সব মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরাধিদের গ্রেপ্তারে এখনো অভিযান চলছে।</p>