<p>এক দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ৭০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারতীয় কাঁচা মরিচের আমদানি এবং পাইকারি বাজারে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কাঁচা মরিচের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারে দাম কমেছে। </p> <p>শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় কাঁচা মরিচের আমদানি হওয়াসহ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কাঁচা মরিচের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে। এক দিন আগেও কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা কেজি দরে।</p> <p>সবজি বাজারে কলেজ শিক্ষক এহতেসাম আহম্মদ বলেন, দুই দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে হয়েছে ২০০ টাকায়। আজ আবার কেজিতে ৭০ টাকা কমে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে। তবে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা থাকলে সবার জন্য স্বস্তিদায়ক হয়।<br />  <br /> পাইকারি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, অতি বৃষ্টির জন্য এলাকার মরিচগাছ মরে মরিচের উৎপাদন কম হওয়া এবং ভারতীয় কাঁচা মরিচের আমদানি না থাকায় মরিচের দাম বেড়েছিল। এখন ভারতীয় কাঁচা মরিচের আমদানি হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এ কারণে এক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ৭০ টাকা কমে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। আমদানি বৃদ্ধি পেলে দাম আরো কমে আসবে।</p> <p> <br /> খুচরা সবজি বিক্রেতা হারুন উর রশিদ ও উত্তম কুমার বলেন, পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে আসায় খুচরা বাজারেও দাম কমে এসেছে। এক দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছেন ২০০ টাকায়। এখন কমে সেটি বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা কেজি দরে। তবে ভারতীয় আমদানি এমন থাকলে কাঁচা মরিচের দাম আরো কমে আসবে।</p> <p>ফুলবাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্ তমাল বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটর করা হচ্ছে। কেউ অযাচিতভাবে কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধি করলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>