<p style="text-align:justify">শিক্ষক নিগ্রহের প্রতিবাদে শিক্ষকতা থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক পলাশ বসাক। গত দুই মাসে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিপীড়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মব জাস্টিস’-এর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। </p> <p style="text-align:justify">শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এই শিক্ষক।</p> <p style="text-align:justify">স্ট্যাটাসে পলাশ বসাক লিখেছেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমি ‘স্বেচ্ছায়’ অব্যাহতি নিয়েছি। আমি আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখে।”</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/19/1726763860-73d74db71c0efc968c2a052eb847b620.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/campus-online/2024/09/19/1427001" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি আরো লিখেছেন, ‘মব জাস্টিসের মাধ্যমে ৫ আগস্টের আগে এবং পরে সংঘটিত সব শিক্ষক নিগ্রহের বিরুদ্ধে এটা আমার নীরব প্রতিবাদ।’</p> <p style="text-align:justify">এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আরেক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘যে প্রতিষ্ঠানে শুধু একটি মাত্র মতের মানুষ থাকতে পারবে, এমন বন্দোবস্ত যখন করা হয়, তখন সেই প্রতিষ্ঠানকে আপনি আর যা-ই বলুন না কেন, ‍‍বিশ্ববিদ্যালয়‍ বলতে পারেন না!’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র আন্দোলনের নামে গত দুই মাসে শিক্ষক নিপীড়নের যত ঘটনা ঘটেছে, তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের পর এমন ঢালাও শিক্ষক নিপীড়নের নজির নেই। বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এ রকম ঘটনা ঘটেছে বলে শুনিনি।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঢাবিতে যুবক হত্যা : আটক ৫ শিক্ষার্থীর দুজন ছাত্রলীগের পদধারী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/19/1726758828-da9ca8088150e71ab2dc1ab576cb6d9d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঢাবিতে যুবক হত্যা : আটক ৫ শিক্ষার্থীর দুজন ছাত্রলীগের পদধারী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/campus-online/2024/09/19/1426982" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা কোনো মত-পথের অনুসারী হবেন, তারা কী বলবেন কিংবা কী বলবেন না, সেটা শিক্ষার্থীরা বা অন্য কেউ নির্ধারণ করে দিতে পারেন না। বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা যদি স্বাধীনভাবে মত প্রকাশই না করতে পারেন, তাহলে বুদ্ধি বা জ্ঞানের চর্চা হবে কী করে? মব জাস্টিস বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতে পারে না।’</p> <p style="text-align:justify">পলাশ বসাক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মত ও পথের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নিশ্চয়তা না থাকা দেশ ও সমাজের চরম ব্যর্থতার পরিচায়ক। শিক্ষক নিপীড়ন বন্ধ করতে না পারার দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও সরকারকেই নিতে হবে। শিক্ষক নিপীড়নের উন্মাদনা অবশ্যই থামাতে হবে।’</p>