<p>সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত বিদেশি ৭ প্রতিষ্ঠান দরপত্র কিনেছে। নিলামকে আরো প্রতিযোগিতামূলক করতে পেট্রোবাংলা দরপত্র জমার সময় বাড়িয়েছে আরো ৩ মাস। তবে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে সমুদ্রে অনুসন্ধান শুরু জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের স্বার্থ সুরক্ষায় উৎপাদন-অংশীদারি চুক্তির বেশকিছু ধারায় সংস্কারেরও পরামর্শ প্রদান করেছেন তারা।</p> <p>বর্তমানে দেশে গ্যাসের মোট চাহিদা  ৪০০ কোটি ঘনফুট। বিপরীতে সরবরাহ ২৭০ কোটি ঘনফুট। এরমধ্যে স্থানীয় উত্তোলন ২১০ এবং এলএনজি মিলছে ৬০ কোটি ঘনফুট।</p> <p>জ্বালানি খাতের মহাপরিকল্পনায়, ২০৩০ সাল নাগাদ স্থলভাগের গ্যাস উত্তোলন নামতে পারে ১৮০ কোটি ঘনফুটের নিচে। অগভীর সমুদ্রে মিলতে পারে আরো ২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। তখন প্রায় ৫০০ কোটি ঘনফুট চাহিদার ৬০ ভাগ মেটাতে হবে এলএনজি আমদানি করে।</p> <p>এমন বাস্তবতায় গভীর-অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে পেট্রোবাংলা। দরপত্রের নথি, তথ্য-উপাত্ত কেনা ও জমা দেওয়ার সময় তিন মাস পিছিয়ে ৯ ডিসেম্বর করা হয়েছে।</p> <p>এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লা এম আমজাদ বলেন, ‘অফশোর বিডিংয়ের যে প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এটির সময় এগিয়ে নেওয়া উচিত। কারণ আমরা যত দ্রুত নিজেদের দেশে গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা করতে পারব ততই ভালো। যদি নিজেদের দেশে আমরা ১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসেরও ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে সেটুকুই আমাদের আমদানি করা লাগবে না। আমদানি কমানো গেলে বৈদেশিক মুদ্রার ওপরও চাপ কম পড়বে।’</p> <p>৫৫টি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আহ্বান জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। এখন পর্যন্ত ৭ প্রতিষ্ঠান দরপত্রের নথি কিনেছে। শর্ত শিথিল করে আরো প্রতিষ্ঠানকে নিলামে টানার পারামর্শ দিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে বছরে বিনিয়োগের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ফেরত পাওয়ার সুযোগসহ উৎপাদন-অংশীদারি চুক্তির বেশকিছু ধারা সংশোধনের তাগিদও দিয়েছেন তারা।</p> <p>জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম বলেন, ‘বলা হয়েছে যে, আমরা যে প্রফিটটা পাব সেটি হবে নগদ অর্থে, গ্যাসে নয়। এ জায়গায় আমাদের আপত্তি রয়েছে। তারা করপোরেট ট্যাক্স যদি কম দেয় বা না দেয় সে ক্ষেত্রে তাদের ভাগের গ্যাসের দাম কমাতে হবে। কস্ট রিকভারির যে সমস্ত ক্লজ রয়েছে সেগুলোকে সংশোধন করতে হবে।’</p> <p>২০১২ সালে ভারত ও ২০১৪ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। ইতিমধ্যে প্রতিবেশি দুই দেশই সমুদ্রে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে।</p> <p> </p> <p>সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট</p>