<p style="text-align:justify">আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন সময়ে অনবরত গুম-খুন, নির্যাতন ও ক্রসফায়ারের শিকার হয়ে বাধ্য হয়েই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা নিজেদের দলীয় পরিচয় গোপন করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ। </p> <p style="text-align:justify">বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)-এর ক্যাফেটেরিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘রগ কাটা’ অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন ঢাবি শিবির সেক্রেটারি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/26/1727354949-9e8a01bfb2c96c61eda1158eb7452e8d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘রগ কাটা’ অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন ঢাবি শিবির সেক্রেটারি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/09/26/1429164" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"> </p> <p style="text-align:justify">পরিচয় গোপন করে রাজনীতি করায় জাতির সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে এস এম ফরহাদ বলেন, ‘বাধ্য হয়েই পরিচয় গোপন করতে হয়েছে শিবিরের নেতাকর্মীদের। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশব্যাপী অনবরত গুম, ক্রসফায়ার আর রিমান্ডে নিহত এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে শিবিরের নেতাকর্মীরা। আমাদের বিভিন্ন শাখার সভাপতি-সেক্রেটারিকে গুম করে ফেলা হয়েছিল। এখনো আমাদের অনেক শাখার সভাপতি-সেক্রেটারি গুম অবস্থায় আছেন। বিভিন্ন থানার সভাপতি-সেক্রেটারি ভাইকে উঠিয়ে নিয়ে ক্রসফায়ার দিয়েছে। আমাদের শত শত ভাইকে ক্রসফায়ার দিয়েছে। আমাদের শত শত ভাইকে মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়েছে।’ </p> <p style="text-align:justify">‘ফ্যাসিবাদ কায়েমে তোমার বড় ভাইকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে তুমি কেন পরিচয় দিচ্ছ না- এই প্রশ্নটি যৌক্তিক, নাকি তোমার বড় ভাইকে কেন হত্যা করা হয়েছে এটার বিচার চাই এই প্রশ্নটি যৌক্তিক’- এমন প্রশ্ন রেখে ফয়সাল বলেন, ‘পর পর পাঁচ থেকে সাত কমিটির নেতৃবৃন্দকে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর পরের কমিটির নেতৃবৃন্দ যখন হত্যার ভয়ে পরিচয় পেশ করতে পারেননি তখন তাদের প্রশ্ন করছেন আপনারা গোপন ছিলেন কেন? আমার মনে হয় এই প্রশ্ন মজলুম একটা সংগঠনের প্রতি আরো বেশি জুলুমের।’ </p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘শুধু শিবির সন্দেহে বিশ্বজিৎ নামের একজন হিন্দু ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এই ধরনের ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়ে যাওয়ার পরও তার স্টেকহোল্ডাররা কিছু বলেনি। বরং যে তার জীবন বাঁচানোর জন্য পরিচয় দিতে পারেনি তাকে এ ধরনের প্রশ্ন করা মজলুমের ওপর আরো জুলুম করার শামিল।’ </p> <p style="text-align:justify">ছাত্রলীগের কমিটিতে তার নাম থাকার বিষয়ে এস এম ফরহাদ বলেন, ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পাওয়ার জন্য নিয়মিত প্রগ্রাম করতে হয়, নেতাদের প্রটোকল দিতে হয়, মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে হাজিরা দিতে হয় এবং পদের জন্য সিভি দিতে হয়। আমি কখনো এসবের কোনোটি করেছি বলে কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না।’ </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বগুড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২০০ বস্তা চাল জব্দ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/26/1727356376-eb887678089e733c986b9fe0ce93538d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বগুড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২০০ বস্তা চাল জব্দ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/09/26/1429171" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">বিভিন্ন ছবিতে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে একসঙ্গে দেখা যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি এবং ডিপার্টমেন্ট ডিবেটিং ক্লাবের সেক্রেটারি হওয়ায় বিভিন্ন প্রগ্রামে তাদের সঙ্গে উপস্থিত হয়েছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একসঙ্গে অনেকগুলো ছবি তোলা হয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">শিবিরের সঙ্গে রগ কাটা বিষয় কেনো জড়িত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনি গুগলে সার্চ করে দেখবেন রগ কাটা বিষয়ে, দেখবেন সব নিউজ ছাত্রলীগের নামে। শিবিরের নামে আপনি কোন ডকুমেন্টস পাবেন না। ফ্যাসিবাদ দীর্ঘদিন ধরে যখন একটা বয়ান প্রতিষ্ঠিত করতে চাইবে তখন সেটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। কারণ এখানে প্রতিটি উপাদানই হেল্প করেছে। অনেকে হয়তো এর সমর্থন দেয়নি, কিন্তু কেউ এর বিরোধিতাও করতে পারেনি। সমন্বিত চেষ্টা দিয়ে যখন একটা ন্যারেটিভ দাঁড় করায় তখন সেটি প্রতিষ্ঠিত হতে বাধ্য। এখন এটি সত্য না মিথ্যা এটা বের করবেন আপনারা সাংবাদিকরা।’</p>