<p> </p> <p>ভারতের মহারাষ্ট্রে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্য ও অবমাননার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। কটূক্তিকারী মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও তার পক্ষ নেওয়া বিজেপির সাংসদ নিতেশ রানেকে গ্রেপ্তারে ভারত সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে দলটি।</p> <p>বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এক জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান। </p> <p>হেফাজতের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর পাঠানো বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ গত আগস্ট মাসে রাসুল (সা)-এর নামে জঘন্য কটূক্তিমূলক বক্তব্য দেন। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মহারাষ্ট্রের মুসলিম জনতা। রামগিরির বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে ৫০টিরও বেশি মামলা হয়। </p> <p>বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, রামগিরির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে একের পর এক মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য দিতে থাকেন মহারাষ্ট্রের বিজেপির হিন্দুত্ববাদী সাংসদ নিতেশ রানে। এক বক্তব্যে নিতেশ হুমকি দিয়ে বলেন, রামগিরি মহারাজের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে, মসজিদে ঢুকে তাদের পেটানো হবে। নিতেশের বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবং তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে নিখিল ভারত মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীনের নেতা ও সাবেক সাংসদ ইমতিয়াজ জলিলের নেতৃত্বে পরিচালিত ‘মার্চ টু মুম্বাই’ কর্মসূচির পদযাত্রা গতকাল আটকে দেওয়া হয়। আমরা রামগিরি মহারাজ ও নিতেশ রানেকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে ইন্ডিয়ার সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। </p> <p>হেফাজত নেতারা বিবৃতিতে আরো বলেন, রামগিরি মহারাজ ও নিতেশ রানেকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ইন্ডিয়ায় তোলপাড় হয়ে গেলেও বাংলাদেশের অধিকাংশ মিডিয়া রহস্যজনকভাবে চুপ ছিল। আমরা এই নীরবতারও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।</p> <p>বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পৃথিবীর কোথাও রাসুল (সা)-এর অবমাননা হলে মুসলমানরা চুপ করে বসে থাকতে পারে না। এই ইস্যুতে পুরো উম্মাহ এক হয়ে প্রতিবাদে জেগে ওঠে। তাই মুম্বাই হাইকোর্টের এক আদেশে ফেসবুকসহ সব সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রামগিরির কটূক্তির ভিডিও সরিয়ে ফেলার যত চেষ্টাই করা হোক, মুসলমানদের এ বিষয়ে অজ্ঞাত রাখা যাবে না। আমরা খবরাখবর রাখছি এবং প্রতিবাদে সোচ্চার রয়েছি। </p> <p>হেফাজত নেতারা আরো বলেন, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর হিন্দুত্ববাদীদের অব্যাহত নির্যাতন নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের জনগণের এই উদ্বেগ আমলে নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। </p>