<p>ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, শেখ হাসিনা আমাদের দেশের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আমরা কখনোই তাকে প্রধানমন্ত্রী বলতাম না।</p> <p>গতকাল সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দর বাসস্ট্যান্ডে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটুকু হবে, প্রশ্ন নাহিদের" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/24/1727154621-6fd33470dea458ab90e18c964caa6eb9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটুকু হবে, প্রশ্ন নাহিদের</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/24/1428405" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘মোদি যখন শপথগ্রহণ করেননি তখন তার সঙ্গে শেখ হাসিনা অন্ধকারের মধ্যে ১০টা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তার একটা চুক্তিও বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য করেননি। বরং সব স্বার্থ ভারতকে দিয়ে এসেছেন। যে দেশের মধ্যে ৯২ শতাংশ মুসলমান বসবাস করে; কিন্তু সেই দেশের মধ্যে মুসলমান আলেম-উলামা স্বাধীনভাবে কথাটুকু বলতে সুযোগ পাননি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এমন এক নীতি-আদর্শ লালন করে, যে নীতি-আদর্শের মাধ্যমে দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি।</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘এই বাংলাদেশে ৫৩ বছরে বহু উত্থান-পতন হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কখনোই নিজেদের ব্যক্তিরস্বার্থের জন্য ইসলামকে নিচে রেখে দেশকে একপর্যায়ে ধ্বংস করার জন্য কারো সঙ্গে আঁতাত করিনি। বাংলাদেশে মধ্যে ৯২ শতাংশ মুসলমান বসবাস করে; কিন্তু একসময় তাদের ধুতি পরে চলতে হতো। এমনকি দলিলে নামের আগে শ্রী বসানোর জন্য বাধ্য করা হতো। ৫ আগস্ট দেশ যখন দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলো, তখনো একটা শ্রেণির মায়ের কান্না এখনো বন্ধ হয়নি। এই সময় একটি স্বার্থান্বেষী মহল চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করছে।’</p> <p>গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজৈর উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবু ছালেহ ছালেনুরের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—বিশেষ অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি হাজি আজিজুল হক মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।</p>