<p>গাজীপুরের শ্রীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ছুড়ে হত্যার ঘটনায় এক মৃত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলা হওয়ার ৯ দিন আগে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। অবশ্য হত্যার সময় ওই ব্যক্তি জীবিত ছিলেন বলে জানা গেছে। </p> <p>মামলায় ১৭০ নম্বর আসামি করা হয়েছে মৃত কালা মিয়াকে (৫৫)। তিনি উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের মৃত শহর আলীর ছেলে। কালা মিয়া কাওরাইদ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য ছিলেন। মৃত ব্যক্তিকে আসামি করায় তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। </p> <p>৪ অক্টোবর নিহত কলেজ ছাত্র আসীর ইনতিশারুল হকের (২১) বাবা আ হা ম এনামুল হক বাদী হয়ে  শুক্রবার (৪ অক্টোবর)  শ্রীপুর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ২২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়। আসীরের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার উজার বৈলর গ্রামে। তিনি কাঁঠাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।</p> <p>মামলায় বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট দুপুর অনুমান ১২টার দিকে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সময় গুলিবিদ্ধ হন আসীর। গুলিটি তার পেটের ডান পাশে বিদ্ধ হয়ে পেছন দিক দিয়ে বের হয়। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আন্দোলনে অংশ নেওয়া কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।</p> <p>মৃত আসামির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কালা মিয়া ২৫ সেপ্টেম্বর ব্রেন স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা যান।</p> <p>কালা মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার বাবা আওয়ামী লীগ করতেন। তাই বলে মারা যাওয়ার পরও আসামি হবেন। এতে আমরা পরিবারের সদস্যরা অনেক কষ্ট পেয়েছি।’</p> <p>কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলম খান বলেন, ‘২৫ সেপ্টেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন কালা মিয়া। ওই দিনই তিনি মারা যান। আমি তার জানাজা ও দাফনে উপস্থিত ছিলাম।’</p> <p>গাজীপুরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) আজমীর হোসেন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরকম হয়ে থাকলে তদন্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে।</p>