<p>হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় হবিগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল এবং সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানসহ ৪১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের ছানু মিয়া বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় এ মামলা করেন।</p> <p>১৬০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আন্দোলনে তার ছেলে হাসান মিয়াসহ (১২) ৯ জন নিহত হয়। অন্য নিহতরা হলো- বানিয়াচংয়ের মাইঝের মহল্লা গ্রামের আ. নূরের পুত্র আশরাফুল ইসলাম (১৭), পাড়াগাঁও গ্রামের শমশের মিয়ার পুত্র মোজাক্কির মিয়া (৪৫), কামালখানী গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে নয়ন মিয়া (১৮), জাতুকর্ণপাড়া গ্রামের আ. রউফের পুত্র তোফাজ্জ্বল মিয়া (১৮), পূর্বগর গ্রামের ধলাই মিয়ার পুত্র সাদিকুর (৩০), কামাল খানী বন্দের বাড়ি গ্রামের তাহির মিয়ার ছেলে আকিনুর মিয়া (৩৫), খন্দকার মহল্লার আবুল হোসেনের ছেলে আনাস মিয়া (১৮), সাগর দিঘির পুর্ব পাড়ের মৃত মোশাহিদ মিয়ার ছেলে সোহেল আখঞ্জি। বানিয়াচং থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।</p> <p>প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট আন্দোলনে ৯ জন নিহত হয়। ঘটনাস্থলে সাতজন এবং পরে দুইজনের মৃত্যু হয়। ৬ আগস্ট একসঙ্গে নিহত সাতজনের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর দাফন করা হয়।</p>