<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫৭ বছর বয়সী মো. আলাউদ্দিন মল্লিক রাজধানী ঢাকার মধ্য বাড্ডার বৈশাখী সরণি এলাকায় একটি বাসায় দারোয়ানের কাজ করতেন। দেড় দশক আগে সুখের আশায় তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের দিন ৫ আগস্ট ঢাকার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলাউদ্দিন মল্লিক শহীদ হন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, আলাউদ্দিন মল্লিক গ্রামের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলায় দক্ষিণ দীঘলদি ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়া এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। এতে যে টাকা আয় হতো তা দিয়ে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হতো তাঁকে। তাই ১৬ বছর আগে তিনি পাড়ি জমান ঢাকায়। ঢাকায় সামান্য বেতনে একটি বাসায় দারোয়ানের চাকরি নেন। বাড়ির মালিকের দেওয়া ওই ভবনের নিচতলায় একটি রুমে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। সংসারে অভাবের কারণে বড় ছেলে আল আমিন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে কাজে যোগ দেন। এক বছর ধরে ঢাকার একটি পত্রিকা অফিসে প্রাইভেট কার চালানোর চাকরি নেন তিনি। কয়েক মাস আগে বড় ছেলে আল আমিনকে বিয়ে করিয়েছেন আলাউদ্দিন। হঠাৎ ৫ আগস্ট ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ আগস্ট শহীদ হন। বাবার মৃত্যুর পর ছেলে আল আমিন প্রাইভেট কার চালানো বাদ দিয়ে বাবার দারোয়ানি চাকরিতে যোগ দেন। স্বামীর মৃত্যুতে সন্তানদের নিয়ে দুঃখের সাগরে ভাসছেন স্ত্রী রাজিয়া বেগম।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজিয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, স্বামী ও বড় ছেলের মাসিক বেতন দিয়ে তাঁদের সংসার ভালোই চলছিল। মেয়ে কুলছুম ভোলার চরফ্যাশন কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। আর ছোট ছেলে ইয়ামিন (২৬ পারা) কোরআনে হাফেজ। তাঁর স্বামী আলাউদ্দিন নিজে কষ্ট করলেও তাঁকে কোনো কাজ করতে দেননি। এখন তাঁকেও অন্যের বাসায় কাজ করতে হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শহীদ আলাউদ্দিনের বড় ছেলে আল আমিন জানান, তাঁর বাবার চিকিৎসা খরচসহ প্রায় চার লাখ টাকা দেনা রয়েছে। বর্তমানে খুব কষ্টে তাঁদের দিন কাটছে।</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>