<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভাঙনের কবলে পড়েছে রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের আবাদি জমি, ঘরবাড়ি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ভাঙনের আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত পার করতে হচ্ছে নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোদালকাটি ইউনিয়নের পাকান্টারী ও সাজাই গ্রামে ব্যাপক নদীভাঙন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে কোদালকাটি বাজার, কয়েকটি স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ এবং ঘরবাড়ি নদীভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। গত সপ্তাহের ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নদীতে পানি বাড়ছে। আর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ বছরও ভাঙনের তীব্রতা শুরু হয়েছে ব্যাপক হারে। হুমকিতে রয়েছে এই ইউনিয়নের সবচেয়ে পুরনো বিদ্যাপীঠ বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোদালকাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সাদাকাত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়, কোদালকাটি বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন ভূমি অফিসসহ প্রায় ২০টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। গত এক সপ্তাহে ৫০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকেই ভিটামাটি হারিয়ে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। যাঁদের যাওয়ার জায়গা নেই তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোথাও আশ্রয় নিয়েছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভাঙনকবলিত এসব এলাকার অনেকেই জানান, এর আগেও বেশ কয়েকবার নদীতে ভেঙেছে তাঁদের ঘরবাড়ি-ভিটামাটি। এবার ভেঙে গেলে নতুন করে আর ঘরবাড়ি তৈরি করতে পারবেন না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাইকান্টারি গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব ওহাব আলী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই জীবনে ৯ বার বাড়ি ভাঙছে। এবারও ভাঙতে ভাঙতে নদী বাড়ির কাছে চইলা আইছে। এখন যেকোনো সময় সব কিছু নদীতে চইলা যাইব। বউ-পোলাপান নিয়া কই যামু, কি খামু</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বলেই কেঁদে ফেলেন তিনি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোদালকাটি বাজার পাড়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব নজর ভনু বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কামলা (দিনমজুরি) দিয়ে সামান্য যে কয় টাকা পাই তাই দিয়ে কোনো মতে সংসার চলে। সব সময় কামলা চলে না। আমরা কিভাবে যে বাঁইচা আছি আল্লাহই ভালো জানে! এখন ঘরবাড়ি যদি নদীতে চইলা যায়, তাইলে থাকমু কই?</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চরসাজাই মণ্ডলপাড়া গ্রামের আমিনুর রহমান মাস্টার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখন পর্যন্ত ভাঙন রোধে কোনো প্রকার চেষ্টাই করেনি প্রশাসন। দ্রুত জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হোক। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবেও সমাধান করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যাদের বাড়ি ভেঙেছে এবং ভাঙছে তারা এখন পর্যন্ত কেন সহায়তা পায়নি জানতে চাইলে রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের তালিকা করতে দিয়েছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের এই মুহূর্তে কোনো বাজেট নেই, সে জন্য আমরা কিছু করতে পারছি না। তবে রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলায় দুটি প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠিয়েছি. এখন পর্যন্ত অনুমোদন হয়নি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>