<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর মানব সৃষ্ট কারণে অধিক পরিমাণ ফলদ ও বনজ গাছ নষ্ট হচ্ছে। কোথাও কোথাও অকারণে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছপালা। গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি পুষ্টি চাহিদাও মেটায়। প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও জনবল সংকট ও যুগোপযোগী নীতিমালা না থাকায় পর্যাপ্ত চারা উৎপাদন করতে না পারায় মুন্সীগঞ্জে বৃক্ষপ্রেমী মানুষ বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছের চাহিদা মেটাতে পারছে না। ফলে দিনের পর দিন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ,  বন বিভাগে আট থেকে ৯ প্রজাতির বিভিন্ন ফলদ ও বনজ চারা পাওয়া যায়। কিন্তু বহু প্রজাতির উন্নত জাতের ফলদ ও বনজ চারা পাওয়া যাচ্ছে না জেলার বন বিভাগগুলোতে। সরকারি বন বিভাগ থেকে মাত্র ৯ টাকায় যে চারা মানুষ কিনতে পারে, সেটা প্রাইভেট নার্সারি থেকে চার-পাঁচ গুণ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ সময় কথা হয় গাছের চারা কিনতে আসা আবু তাহেরের সঙ্গে। তিনি বলেন, সরকারি এ নার্সারিতে কমন কয়েক ধরনের কিছু চারা পাওয়া যায়। সব ধরনের চারা পাওয়া যায় না। শুধু তা-ই নয়, দেশি চারার পাশাপাশি যদি এখানে উন্নত জাতের কলমের চারা পাওয়া যেত, তাহলে ভালো হতো।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরেক বৃক্ষপ্রেমী নুরুল আমিন জানান, এখানে ফলদ ও বনজ সব মিলিয়ে আট থেকে ১০ ধরনের চারা পাওয়া যায়। যেখানে মানুষের চাহিদা কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের চারার। প্রতিবছর একই প্রজাতির চারা উৎপন্ন হচ্ছে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বন বিভাগের অফিস সূত্র জানায়, বর্তমানে ৫০ শতাংশের মতো জনবল রয়েছে। গত বছর এক লাখ চারা উৎপন্ন হয়েছিল, যার মধ্যে এখনো বহু গাছ রয়েছে অবিক্রীত।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বন বিভাগে কর্মরত বাগানের মালি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগে বিভিন্ন পদে থাকা কর্মকর্তারা জানান, বাগানের মালিরা জানিয়েছেন যে চারা বিক্রির টাকা সরকারি খাতে জমা হচ্ছে। </span></span></span></span></p>