<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একসময় সারা দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করা জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বর্তমানে জনবল সংকটে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। এতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই অঞ্চলসহ আশপাশের অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রশাসনিক, বিশেষজ্ঞ ও জুনিয়র কনসালট্যান্টসহ সব মিলিয়ে ২৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে ছয়জন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকের মধ্যে দুজন প্রশাসনিক কাজে, দুজন জুনিয়র কনসালট্যান্ট এবং বাকি দুজন মেডিক্যাল অফিসারের দায়িত্বে আছেন। ১০ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র দুজন। এ ছাড়া সার্জারি, গাইনি, মেডিসিন সার্জারি, কার্ডিওলজি, চর্ম ও যৌন, অর্থোপেডিক্সের কনসালট্যান্ট পদ শূন্য রয়েছে। এরই মধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে একসঙ্গে চারজন চিকিৎসকের বদলি হয়ে যায়। চিকিৎসক সংকটের সঙ্গে রয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকট। হাসপাতালের আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সাতটি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র একজন। ওয়ার্ড বয় পাঁটি পদের বিপরীতে আছে মাত্র দুজন। নাইট গার্ড দুটি পদের বিপরীতে আছে একজন। এ ছাড়া বর্তমানে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী এখানে নেই। এতে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে অনেকেই চলে যাচ্ছেন আশপাশের প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন জানান, একসময় সিজার ও অপারেশন হলেও এখন তা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের। এতে করে প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি প্রাণঘাতীর ঘটনাও ঘটছে। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রবিউল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকলেও চিকিৎসক সংকট থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ডাক্তার ও জনবল সংকট নিয়োগের জন্য বারবার চিঠি দিয়ে যাচ্ছি। নিরসন হলে সাধারণ রোগীদের সেবার মান বাড়বে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>
