<p>আয়াতের অর্থ : ‘অতঃপর উভয়ে চলতে লাগল, চলতে চলতে তাদের সঙ্গে এক বালকের সাক্ষাৎ হলে সে তাকে হত্যা করল। তখন মুসা বলল, আপনি কি এক নিষ্পাপ জীবন নাশ করলেন, হত্যার অপরাধ ছাড়াই? আপনি এক গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন!...মুসা বলল, আপনি ইচ্ছা করলে এর জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারতেন।’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ৭৪-৭৭)</p> <p>আয়াতগুলোতে মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর মধ্যকার কথোপকথন তুলে ধরা হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. জাকিয়্যুন অর্থ নিরপরাধ, বিশেষত যে ব্যক্তি ব্যভিচার করেনি। ফলে বোঝা যায়, পূর্ববর্তী শরিয়তেও মানব হত্যা নিষিদ্ধ ছিল এবং ব্যভিচারের শাস্তি ছিল প্রাণদণ্ড।</p> <p>২. শরিয়তে তিনটি অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড : ক. নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা, খ. ঈমান আনার পর কুফরি করা, গ. বিয়ের পর ব্যভিচার করা।</p> <p>৩. চুপ থাকার অঙ্গীকার করার পরও মুসা (আ.) হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। কেননা হত্যা করা অঙ্গীকার ভঙ্গের চেয়ে গুরুতর।</p> <p>৪. ভুল হলে লজ্জিত হওয়া মুমিনের বৈশিষ্ট্য। এ জন্য মুসা (আ.) লজ্জিত হয়ে বলেন, এরপর আমাকে সঙ্গী করবেন না।</p> <p>৫. কাতাদা (রহ.) বলেন, সেই গ্রাম নিকৃষ্ট, যেখানে অতিথির আপ্যায়ন হয় না এবং পথিকের অধিকার স্বীকার করা হয় না। (তাফসিরে তাবারি : ৫/১২২; তাফসিরে আবু সাউদ : ৫/২৩৬)</p>