<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের বুড়াগৌরাঙ্গ নদে ঝাঁকি জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামের জেলে হাচন মিয়া। গত শনিবার সকালে নদে জাল ফেললে প্রতি টানেই তাঁর জালে উঠছিল রুই, কাতলা আর মৃগেলের পোনামাছ। হাচন মিয়া বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই নদীতে প্রায়ই আমি জাল দিয়ে মাছ ধরি। কিন্তু চাষের মাছ কখনো পাই নাই। প্রথমবার পাইলাম। এই মাছগুলো মনে হয় যে এলাকায় বন্যা হয়েছে, ওই এলাকা থেকে ভেসে এই নদীতে আইছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুধু হাচন মিয়ার ঝাঁকি জালেই নয়, বুড়াগৌরাঙ্গ নদে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে ইলিশ কিংবা অন্য মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের জালেও মিঠা পানির চাষের মাছ ধরা পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া একই উপজেলার আগুনমুখা নদীতেও মিলছে চাষের মাছ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে জাল ফেললেই মিলছে পুকুর ও ঘেরের চাষের মাছ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলেরা জানান, নদীতে ইলিশ একেবারে কম। দীর্ঘদিন ধরে জেলেদের এ নিয়ে হতাশা। কিন্তু হঠাৎ নদীতে পুকুর-ঘেরের মাছ পাওয়ায় সেই হতাশা কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে। বানের পানিতে পুকুর-ঘেরের মাছ ভেসে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলের বন্যাকবলিত এলাকার মাছ চাষিদের ক্ষতি হলেও এখন লাভবান হচ্ছেন দক্ষিণের এ অঞ্চলের জেলেরা। তাঁরা জানান, দীর্ঘদিন নদীতে মাছ না পাওয়ায় অনেক জেলে এখন মাছই ধরতে যাচ্ছিলেন না। হঠাৎ নদীতে বেশি মাছ ধরা পড়ায় এখন সবাই নদীতে নামতে শুরু করেছে। ফলে বাজারে মাছের সরবরাহ বেড়েছে। তাই মাছের দামও কমে যেতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১১ জেলায় বন্যা হয়েছে। তাই নদীতে এখন যে মাছ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো ওই সব এলাকার পুকুর বা ঘেরের মাছ হতে পারে। তবে নদীতে মাছের সঙ্গে ময়লা-আবর্জনাও ভেসে আসতে পারে। সেগুলো কিন্তু একটা ঝুঁকির কারণ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ, অ্যাকোয়াকালচার ও মেরিন সায়েন্স অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, সম্প্রতি ফেনী-লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যার কারণে পুকুর ও ঘেরে চাষ করা রুই, কাতল, মৃগেল মাছ এখন বিভিন্ন এলাকার নদী-নদীতে পাওয়া যাচ্ছে। শুধু মাছই এসেছে তা নয়, বন্যাকবলিত এলাকা থেকে ময়লা-আবর্জনা, বর্জ্য, পয়োনিষ্কাশনের মলমূত্র এবং রোগজীবাণু এসব এলাকার নদীর পানি দূষিত করতে পারে। এতে রোগবালাইও হতে পারে। এগুলো ঠিক হতে মাসখানেক সময় লাগবে। সুতরাং নদীর পানি ব্যবহারে সাবধান হতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p>