<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শেখ পরিবারের নামে প্রতিষ্ঠিত স্থাপনা ও সংগঠনের নাম ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের ১০০ দিন পরও বদল হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে এখনো নামগুলো পরিবর্তন করা যায়নি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিফলকটি প্রায় ১৮ বছর ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। দ্রুতই এটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে উপাচার্য প্রতিশ্রতি দিলেও তা এখনো বাস্তবে রূপ নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, এখানকার দুটি ছাত্রীহলের একটির নাম পতিত ফ্যাসিস্ট শাসক শেখ হাসিনার নামে। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটটি তার স্বামী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নামে। আর অ্যাকাডেমিক ভবনটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। একমাত্র জিমনেশিয়ামটির নামকরণ করা হয়েছে শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের নামে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সংগঠনের নামও ফ্যাসিবাদী মতাদর্শের পুরোধা শেখ মুজিবের নামে। এগুলো হলো</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ব্লাড ডোনেশন ক্লাব, বঙ্গবন্ধু ক্যারিয়ার ক্লাব প্রভৃতি। পাঠাগারেও রয়েছে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বঙ্গবন্ধু কর্নার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। অবশ্য সম্প্রতি ক্যারিয়ার ক্লাবের নাম থেকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বঙ্গবন্ধু</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, মূলত তৎকালীন সরকার ও সরকারি দলের আশীর্বাদপ্রাপ্তির আশায় নামকরণের ক্ষেত্রে শুধুই এক পরিবারের সদস্যদের কথা বিবেচনা করেছে সুবিধাবাদী মহল। এ ছাড়া ছাত্ররাজনীতিমুক্ত এই ক্যাম্পাসে রয়েছে শিক্ষকদের রাজনীতি; যা পুরোপুরি একতরফা। নীল দলের ব্যানারে এই ক্যাম্পাসে ফ্যাসিবাদ সমর্থক শিক্ষকরা সংগঠিত। ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষকদের কোনো প্ল্যাটফরম যবিপ্রবিতে নেই। ফলে নীল দল মনোনীত ব্যক্তিরাই </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্বাচিত</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হতেন শিক্ষক সমিতিতে। সরকার পতনের পর শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. ইকবাল কবির জাহিদ ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। রয়ে গেছেন তার অনুসারীরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর দেশের অন্য সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো যবিপ্রবি প্রশাসনের শীর্ষ পদেও পরিবর্তন ঘটে। প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেনের স্থলে উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হন প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মজিদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাল ধরলেও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদে ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়ে গেছেন।</span></span></span></span></p>