<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও রাত্রিযাপন সীমিতকরণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সেন্ট মার্টিনের অধিবাসী এবং সেখানে পর্যটন খাতে জড়িত নানা শ্রেণির মানুষ। তারা গায়ে কাফনের কাপড় জড়িয়ে শহরের ব্যস্ততম এলাকা পর্যটন জোনের কলাতলীতে প্রধান সড়কে (ডলফিন মোড় ও আশপাশের এলাকা) আড়াই ঘণ্টা বিক্ষোভ করে। এতে নারী ও শিশুরাও অংশ নেয়। এ সময় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও মেরিন ড্রাইভে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। পরে জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। তবে দাবি আদায় না হলে আবার আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়েছে তারা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্দোলনের সমন্বয়কদের একজন আবদুল মালেক জানান, এই আন্দোলনে অংশ নিতে সেন্ট মার্টিন থেকে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু এসেছে। পর্যটনশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন স্তরের মানুষও অংশ নিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, অবরোধের কারণে কলাতলীর প্রধান সড়ক ও মেরিন ড্রাইভে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল এবং পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়ার আহবান জানায়। তবে আন্দোলনকারীরা তাতে সাড়া দেয়নি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা উন্নয়ন জোটের চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশি বলেন, ছাত্র-ছাত্রী, স্থানীয় জনগণ, দিনমজুর, কুলি, শ্রমিক, মৎস্যজীবী, চাকরিজীবী, তরুণ উদ্যোক্তা, পর্যটন ব্যবসায়ী, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী, হোটেল-রিসোর্ট মালিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রবল আপত্তি অগ্রাহ্য করে সরকার সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা এবং রাত্রিযাপন ও পর্যটক যাতায়াত সীমিত করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জীবন-জীবিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। আর্থিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পড়ালেখা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। তাই তাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়ামিন হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আন্দোলনকারীদের একটা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে জেলা প্রশাসক বসেছিলেন। তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, তাদের দাবিগুলো উপদেষ্টার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। পরে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>