<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বে দুগ্ধ খামারিদের ফিড বা পশুর খাবার ব্যয় হয় গড়ে কেজিতে ২৭ টাকা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ৩৮ পয়সা। কিন্তু বাংলাদেশের একজন খামারির সেই পরিমাণ খাদ্য কিনতে ব্যয় হয় প্রায় ৪৪ টাকা ১৮ পয়সা। এতে দেশের একজন খামারির খাদ্য বাবদ প্রায় ৬১ শতাংশ বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। ফলে দুধের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম দামে দুধ কিনতে পারছেন না ভোক্তারা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রাজধানীতে বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভুট্টু। লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুগ্ধ খামারিরা দেশের অর্থনৈতিক খাতে অবদান রাখার পরেও আমাদের কথা কেউ ভাবে না। ডেইরি ও ফ্যাটেনিং খামারের বিদ্যুৎ ও পানির বিল কৃষির আওতায় আনতে হবে। এখানে বৈষম্য কমাতে হবে। কৃষি খাতে বিল প্রতি ইউনিট ৫.৪০ টাকা। সেখানে গরুর ফার্মের প্রতি ইউনিট ১১ থেকে ১৪ টাকা। আবার ইউরোপ, আমেরিকা বা ভারতের খামারিদের জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ ও মাংস খাওয়ানোর জন্য সরকার ভর্তুকি প্রদান করে। আবার আমদানি করা গুঁড়া দুধের কারণে আমাদের দেশের খামারিরা অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছেন। গুঁড়া দুধ আমদানিতে ট্যাক্স সমন্বয় অথবা খামারিদের ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে অসম প্রতিযোগিতা থেকে তাঁদের পরিত্রাণ দেওয়ার সুপারিশ করেন তাঁরা।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকারি প্রকল্পের অপচয় তুলে ধরে তাঁরা বলেন, চার বছর ধরে দেখছি এলডিডিপি প্রজেক্টের মাধ্যমে বিভিন্ন বেদরকারি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> যেমন, বিভিন্ন জায়গায় মিল্কিং মেশিন বসানো হচ্ছে। কিন্তু অনেক গ্রাম এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে এগুলো কার্যকর হবে না। ক্রিম সেপারেটর মেশিন বসানো হচ্ছে; কিন্তু ক্ষুদ্র খামারিরা দুধের ক্রিম তোলেন না। এসব বেদরকারি খাতে খরচ না করে গোসম্পদ রক্ষায় সরকারিভাবে টিকা আমদানি করে খামারিদের দিতে হবে। এতে দেশের গোসম্পদ এলএসডি ও এফএমডি রোগ থেকে রক্ষা পাবে।</span></span></span></span></span></p>