<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্ত ব্যাংক বিশেষ ধারে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সরাসরি টাকা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই টাকা যেন বাজারে মূল্যস্ফীতি উসকে না দেয়, সে জন্য বিলের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩০ দিন মেয়াদি বিলের দুই নিলামে বাজার থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক তুলেছে ৯৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের মাধ্যমে ৪৫২ কোটি টাকা উত্তোলন করে। এতে ১১টি ব্যাংক অংশ নেয়; যেখানে গড় সুদের হার ছিল ১১.১০ শতাংশ। এর আগে গত ২০ নভেম্বর ১১ থেকে ১১.১০ শতাংশ সুদে তোলা হয় ৫০১ কোটি টাকা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিগত সরকারের সময় এস আলম গ্রুপ সাতটি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এসব ব্যাংক থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ বের করে পাচার করে। কোনো ধরনের আইন না মেনে ব্যাংকগুলোকে সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে নতুন সরকার এসে সেই সহায়তা বন্ধ করার পর এসব ব্যাংকের আসল চেহারা সামনে আসছে। এরই মধ্যে ব্যাংকগুলোতে গিয়ে অনেক গ্রাহক চাহিদামতো টাকা পাচ্ছেন না। সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে আন্ত ব্যাংক ধারের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হচ্ছিল। তবে ব্যাংকগুলোর দিক থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা দেওয়া হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে গত ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, টাকা না ছাপানোর সিদ্ধান্ত থেকে সাময়িকভাবে সরে এসেছেন। টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ছয় ব্যাংককে ২২ হাজার ৫০০ কোটি দেওয়া হয়েছে। গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বলেন, আগের অবস্থান থেকে সাময়িকভাবে সরে এসেছি, পুরোপুরিভাবে নয়। আমরা সংকটে পড়া ব্যাংকগুলোকে যে পরিমাণ তারল্যের জোগান দেব, বাজার থেকে সমপরিমাণ টাকা বন্ড ছাড়ার মাধ্যমে তুলে ফেলব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>