<p>দেশে অব্যবহৃত যথেষ্ট সরকারি জমি রয়েছে। রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথসহ যেসব অব্যবহৃত খাসজমি রয়েছে সেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এতে জীবাশ্ম জ্বালানির (কয়লা, গ্যাস, তেল) ব্যবহার কমানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।</p> <p>গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিজিসিসিআই) আয়োজিত ‘রিনিউয়েবল এনার্জি, ডিকার্বোনাইজেশন, অ্যান্ড এনার্জি ট্রান্সমিশন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এসব কথা বলেন।</p> <p>তিনি বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে শিগগির ৪০টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হবে। স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জ্বালানি রূপান্তরে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান জ্বালানি উপদেষ্টা।</p> <p>সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আসিম টোস্টার, সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এসআরইডিএ) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই খন্দকার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের (বিপিএমআই) রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।</p> <p>অনুষ্ঠানে বিজিসিসিআইর সভাপতি এম মাকসুদ বলেন, বিশ্বব্যাপী একটি সবুজ বা পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে নীতি কাঠামো, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং আর্থিক মডেল অনুসন্ধানের জন্য একটি প্ল্যাটফরম তৈরি করে দিয়েছে এই সেমিনার। ড. ইজাজ হোসেন ডিকার্বোনাইজেশন, জ্বালানি দক্ষতা, জ্বালানি সংরক্ষণ এবং বিশুদ্ধ উৎস রূপান্তরের ওপর আলোচনা করেন।</p> <p>এ ছাড়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এসআরইডিএর সদস্য (যুগ্ম সচিব) রতন কুমার ঘোষ, বিশ্বব্যাংকের জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ফয়সাল রাব্বী, ইইউ ডেলিগেশনের ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড এনার্জি প্রগ্রাম ম্যানেজার তাইফ হোসাইন এবং জিআইজেড বাংলাদেশের স্কিলসফোরএসই প্রকল্পের প্রধান মো. তানভির মাসুদ। সেমিনারে মোহাম্মদ আলাউদ্দিন তার বক্তব্যে অ্যাগ্রিভোল্টাইক্সের ওপর তার মতামত তুলে ধরেন, যা সৌর শক্তি উৎপাদন এবং কৃষি কার্যক্রমের সঙ্গে সংমিশ্রণ করে ভূমির উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি শক্তি উৎপাদনে অবদান রাখে। তানজিনা দিলশাদ তার বক্তব্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্লোবাল গেটওয়ে উদ্যোগের ওপর আলোকপাত করেন, যা বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলোকে পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।</p>