<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আয়কর প্রদান থেকে অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রামীণ ব্যাংক সমাজের অবহেলিত ভূমিহীনদের মালিকানায় ভূমিহীন জনগোষ্ঠীর সার্বিক কল্যাণে নিয়োজিত একটি ঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে ভূমিহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে তারা যেন গ্রামীণ অর্থনীতিতে একটি সুস্পষ্ট ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে এবং নিজেরা যাতে দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পারে, সেটিই গ্রামীণ ব্যাংকের মূল লক্ষ্য। গ্রামীণ ব্যাংক বিশেষায়িত ব্যাংক হলেও এই ব্যাংকের কার্যক্রম মূলত ক্ষুদ্রঋণকেন্দ্রিক। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ব্র্যাক, আশা, টিএমএসএসসহ রেজিস্ট্রিকৃত সাত শর বেশি এনজিও ক্ষুদ্রঋণের আয়ের ওপর থেকে আয়কর অব্যাহতি পেয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ, ১৯৮৩-এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকও প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখ পর্যন্ত শর্তহীনভাবে আয়কর অব্যাহতি পেয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার পুনরায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৯ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংককে আয়কর অব্যাহতি প্রদান করেছে। সরকারের এই কর অব্যাহতি সহায়তা গ্রামীণ ব্যাংকের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।</span></span></span></span></span></p>