<p>সুদহার কমানোর সম্ভাবনা ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে সোনার দাম। সেই সঙ্গে আরেক মূল্যবান ধাতু রুপার দামও বাড়ার কথা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রুপার দাম না বেড়ে উল্টো কমছে। বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমকিস জানায়, বিশ্ববাজারে বর্তমানে সোনা ক্রয় বেড়েছে কিন্তু সেই হিসেবে বাড়েনি রুপার ক্রয়। কারণ বিশ্বজুড়ে ম্যানুফ্যাকচারিং কর্মকাণ্ড কিছুটা হতাশ অবস্থায় রয়েছে। ফলে শিল্প খাতে রুপার চাহিদা না থাকায় এই পণ্যের দাম উল্টো কমছে। এর পাশাপাশি লিথিয়াম ও প্লাটিনামের দামও কমছে।</p> <p>ট্রেডিং ইকোনমকিসের হিসাব অনুযায়ী, গত শুক্রবার বিশ্ববাজারে সোনার দাম ০.২৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স হয় দুই হাজার ৪৩০ ডলার। এক মাসে এই মূল্যবান ধাতুর দাম বেড়েছে ২.৪৩ শতাংশ। এর বিপরীতে গত শুক্রবার রুপার দাম ০.৩৩ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স হয় ২৭.৪৪ ডলার, যা তিন মাসে সর্বনিম্ন। এক সপ্তাহে এই মূল্যবান ধাতুর দাম কমেছে ৩.৯০ শতাংশ, আর এক মাসে কমেছে ১১.০৪ শতাংশ।</p> <p>সংস্থা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান ডাটা ইতিবাচক আসেনি, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের অবস্থাও অতটা ভালো না। ফলে মন্দার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে আশা করা হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানোর জন্য আগামী সেপ্টেম্বরের বৈঠকে সুদহার কমাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ।</p> <p>অন্যদিকে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডাব্লিউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানায়, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্ববাজারে সোনার চাহিদা বাড়ে এক হাজার ২৫৮ টন, যা এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি। যেকোনো বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় এটি রেকর্ড। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রয়ে সোনার দাম বাড়লেও রুপার দাম ক্রয় অনেকটাই কমেছে। বিশেষত সোনার রিজার্ভ চাহিদা থাকলেও রুপার চাহিদা বেশি ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে। আর এ খাতে মন্দার কারণে চাহিদা সেভাবে না থাকায় রুপার দাম কমতির দিকে রয়েছে। সূত্র : ট্রেডিং ইকোনমিকস</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>