<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অন্যতম মৌলিক সংকট আবাসন ব্যবস্থা না থাকা। আবাসন সমস্যা সমাধান তথা হল আন্দোলনে বিভিন্ন সময় রাজপথে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগের লাঠিপেটা সয়ে অবিরাম আন্দোলনেও আবাসন সমস্যার স্থায়ী সমাধান পাননি শিক্ষার্থীরা। বরং হাজি সেলিমের মতো আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের দখলে থেকেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ আমলের হলগুলো। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর হাজি সেলিম গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। এর পরও তাঁর লোকজনের দখলে থাকা জবির তিব্বত হল (বর্তমান নাম গুলশান আরা সিটি মার্কেট) ফিরে পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়। আইনি জটিলতায় উচ্ছেদে যায়নি জেলা প্রশাসন। লিজ পেপার না থাকায় দখল করা সম্ভব হয়নি আব্দুর রহমান হল। শহীদ নজরুল ইসলাম হলের লিজ মানি পরিশোধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে সম্প্রতি বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান হলে অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষার্থীরা বলছেন, জবিতে আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। মেসে মিল অফ রাখা, কম টাকায় ডাইনিংয়ে থাকা, টিউশনের জন্য হাহাকার করতে হয় তাঁদের। এমনকি থাকা-খাওয়ার টাকা জোগাড় করতে না পারায় পড়াশোনা বাদ দিয়ে গ্রামে চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অনেক। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন (ছদ্মনাম) বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি এক বছর হলো ক্যাম্পাস থেকে চলে এসেছি। অতীতের বিষয় নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছা করে না। তবে আমার অনেক বন্ধু খোঁজ নিয়েছে, বুঝিয়েছে। এটুকু শুধু বলব, আমার পড়াশোনা করার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু পারিনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে উচ্চশিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়ার স্বস্তিকর ব্যবস্থা করতে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, হল উদ্ধার এবং আবাসন তৈরিতে জবি সংস্কার আন্দোলনের হল কমিটি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমন্বিত কাজ করে যাচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়ায় আব্দুর রহমান হল, তিব্বত হল, নজরুল ইসলাম হল, বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান হল উদ্ধার এবং অস্থায়ী আবাসন তৈরিতে কাজ করছে তারা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিব্বত হল ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিব্বত হলের অবস্থান পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলীর ওয়াইজঘাট ৮ ও ৯ নম্বর জিএল পার্থ লেনে। ২০০১ সালে দখলে নিয়ে নিজ স্ত্রীর নামে মার্কেট তৈরি করেন সাবেক এমপি হাজি সেলিম। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর তিব্বত হল দখলের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কায় দখল কার্যক্রম স্থগিত করে ঢাকা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় এগোন শিক্ষার্থীরা। তবে নানা আইনি জটিলতায় হল ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জান গেছে, তিব্বত হল বা গুলশান আরা সিটি মার্কেটের মোট জমি প্রায় এক একর। এর মধ্যে প্রায় ৫৩ শতক ভিপি জমি নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ প্রায় ১৫ শতক (আট কাঠা)। এটিও মামলার আওতাধীন। আদালতের সব মামলায় সরকারপক্ষ হেরে যায়। মামলার প্রক্রিয়া বর্তমানে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশেষ ট্রাইব্যুনালে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> চলমান রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, গুলশান আরাসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন মার্কেট এবং প্লট দলিল ছাড়াই ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছেন হাজি সেলিম। পুরান ঢাকায় হাজি সেলিমই ছিলেন শেষ কথা। কোটি কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে এসব প্লট।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জবি উদ্ধার কার্যক্রমে থাকা ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী খান আবু বকর কালের কণ্ঠকে বলেন, তিব্বত হলের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দুটি পক্ষ তৈরি করেছেন হাজি সেলিম। উভয় পক্ষ মামলা করে হাইকোর্টে। মামলার এক পক্ষ জিতলে হাজি সেলিম তাদের মাধ্যমেই প্লট বিক্রি করে দেন ব্যবসায়ীদের কাছে। ফলে আইনি প্রক্রিয়ায় তিব্বত হল ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নজরুল ইসলাম হলের একাংশে থাকছেন ১৪ শিক্ষার্থী</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গোপীমোহন বসাক লেনের ৫/১, ২, ৩, ৪ ও ৬ নম্বর টিপু সুলতান রোডের শহীদ নজরুল ইসলাম হল। সেখানে বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষার্থী নিজ তত্ত্বাবধানে থাকছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হলের লিজমানি পরিশোধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর চিঠি দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। লিজমানি পরিশোধের পরই সেখানে অস্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইনি জটিলতায় ফসকে গেল আব্দুর রহমান হল</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জবি সংস্কার আন্দোলনের হল উদ্ধার কমিটির সদস্য নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, আব্দুর রহমান হল উচ্ছেদে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন কর্মকর্তা এবং দুজন শিক্ষার্থী চেয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে দেখা গেল, জেলা প্রশাসনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে কোনো লিজমানির কাগজপত্র নেই। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, মেনন আঞ্জুমান নামে একটি প্রতিষ্ঠান বনাম রাষ্ট্র একটি মামলা চলছে। যেখানে মেনন নামে এক ব্যক্তি এই হলের জমিকে ব্যক্তি মালিকানা দাবি করছেন। এ ছাড়া সর্বশেষ জরিপে এই জমি খাসভুক্ত জমির তালিকায় আসেনি বলে জানা গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা হলের জমি উদ্ধারে সুপ্রিম কোর্টে যাব। আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা খারিজের চেষ্টা করব। খাসভুক্ত হলে পরে আমরা লিজ নিয়ে শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করতে পারব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অস্থায়ী আবাসন নির্মাণের কাজ শুরু দুটি হলে</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ২৮ অক্টোবর দুটি হলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। হল দুটি হলো বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান হল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের কাজ গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষার্থীরা বলেছেন স্টিল স্ট্রাকচারে কাজ করলে বেশি শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা করা যাবে। আমরা সেভাবেই ডিজাইন করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কারাগারের পাশে ৭ একর জমি নিয়ে পরিকল্পনা </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেরানীগঞ্জ কারাগারের পাশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনা প্রায় সাত একর জমি রয়েছে। সেখানে টিনশেড নির্মাণ করলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা হবে বলে মনে করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে জায়গাটি বেশ নিচু হওয়ায় আপাতত আবাসন নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মৌলিক সমস্যা আবাসন সংকট</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আবাসন সমস্যা। পুরান ঢাকার মেস ম্যানেজার ও বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে ঝামেলা, পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ না পাওয়া, আবাসনের বাড়তি খরচ জোগাড় করতে না পারা, টিউশনি না পাওয়াসহ নানা সমস্যার কারণ হিসেবে আবাসন সংকটকেই দুষছেন শিক্ষার্থীরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক ঝিলন বলেন, একটু মাথা গোঁজার জন্য, একটু খাওয়ার জন্য জবির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন কী নিদারুণ সংগ্রাম করতে হচ্ছে! বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে হাজারো শিক্ষার্থীর এই জটিল সমস্যার সমাধান করতে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জবির ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম রিফাত হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা হল উদ্ধার কমিটির সঙ্গে বসেছি। নিয়মিত আলোচনা পরামর্শ করে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরুর সব দিক যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সার্বিক বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাত একর জমিতে আপাতত আবাসন নির্মাণের পরিকল্পনা নেই। তিব্বত হলের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। ফিরে পাওয়া যাবে কি না, তা-ও জানি না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আব্দুর রহমান হল উদ্ধারে আমি যুক্ত হয়েছিলাম। পরে জানতে পারি, এটা আঞ্জুমানের ব্যক্তি মালিকানাধীন। রেকর্ডে আঞ্জুমান নামের আছে। ডিসি অফিসে নতুন দুটি হলে স্থায়ী ভবন নির্মাণের অনুমতি চেয়েছি। সেখানে আবার আমাদের কর্মচারীরা রয়েছেন, তাঁদের বিষয়টিও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আবাসন সমস্যা সমাধানে ১৫ তলা ভবন ও ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা করতে চাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>