<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশ ইস্যুতে দুটি বিষয় বিবেচনায় নিয়েছে। প্রথমত, সংস্থাটি এটা বুঝতে চাইছে, বাংলাদেশে সঠিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হতে যাচ্ছে কি না। দ্বিতীয়ত, তারা বাংলাদেশে আইনের শাসনের দিকেও নজর রাখবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন ও জনপ্রিয়তার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েই গতকাল শনিবার বার্তা সংস্থা ইউএনবির সঙ্গে কথা বলেছেন। ইউএনবি একই দিনে তাদের অনলাইন ভার্সনে সংবাদটি প্রকাশ করেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ইউএনবিকে বলেন, প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে যদি অর্থবহ নির্বাচন করা যায়, তাহলে বাংলাদেশ শুধু একটি নতুন সংসদই পাবে না; এমন একটি নতুন সরকার পাবে, যে সরকার আইনের শাসনের পাশাপাশি মৌলিক মানবাধিকারের দিকেও লক্ষ রাখতে পারবে। কারণ এ ধরনের সরকারের মাথায় থাকবে, তারা জনগণের রায় নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শনিবার ঢাকায় আসার পর ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান মাইকেল মিলার তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকারে ইউএনবিকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এগুলোই হলো মৌলিক নীতি, যার ভিত্তিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের মৌল ভিত্তি হতে পারে। প্রত্যাশা আকাশ ছোঁয়া কিছু নয়। তবে নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা সব সময়ই কঠিন ব্যাপার।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাষ্ট্রদূত মিলার মনে করছেন, এটা বাংলাদেশের জন্য একটি কঠিন সময়। তাঁর ভাষায়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মনে হয় না নির্বাচনের আগে প্রত্যাশিত সব ধরনের সংস্কার সম্পন্ন হয়ে যাবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত সংস্কার নিশ্চিত করা লাগতে পারে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ সরকার এটা বোঝাতে পেরেছে যে তারা সংস্কারকার্য চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তাঁর ভাষায়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আকাঙ্ক্ষাটি যে খুব বড়, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রবল চাপ আসছে। তবে কিছু কিছু সংস্কার না হলে চলবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্বাচন সম্পন্ন  করতে একটি বিশেষ প্রক্রিয়া লাগবে। সঠিক পদ্ধতি বেছে নেওয়াটা এখন বেশ জরুরি। আর সঠিক প্রক্রিয়া বেছে নিতে পারলেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এটা প্রমাণ করতে পারবে যে তারা নির্বাচনী সংস্কার করতে সক্ষম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিলার এটাও বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্বাচনী সংস্কারের সবচেয়ে জটিল দিকটি হলো এটার বাস্তবায়ন। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের এটা প্রমাণ করতে হবে যে তাঁদের রাজনৈতিক সদিচ্ছায় কোনো ধরনের ঘাটতি নেই। তারপর তাঁরা আমাদের সংস্কার ইস্যুতে তাঁদের অগ্রাধিকারগুলো সম্পর্কে জানাবেন। এরপরই আমরা খুবই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যেতে পারব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে অংশদারি ও সমঝোতা চুক্তির (পিসিএ-পার্টনারশিপ অ্যান্ড কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল গত আগস্টে। কিন্তু বাংলাদেশে নজিরবিহীন গণ-আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে প্রথম ধাপের আলোচনা বাতিল হয়ে যায়। সেই আলোচনা পুনরুজ্জীবনে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। তবে আলোচনার বিষয়গুলো দুই পক্ষই একে অপরকে জানিয়ে দিয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্রাসেলস থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি দল বাংলাদেশ আসবে। আমরা তখন পিসিএ নিয়ে শুধু আলোচনাই করব না, চুক্তিটির উন্নয়ন ঘটাব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>