<p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিদ্যুত্চালিত গাড়ি বা ইভি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে বাংলাদেশের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে এর নানা রকম ঝুঁকি ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। মূলত জ্বালানি খরচ ও চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানি তেল চালিত ইঞ্জিনের গাড়ির পাশাপাশি ইভির উত্থান। কিন্তু বাংলাদেশে এর সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বরং ইভির বিকল্প হিসেবে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.1pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ভেহিকল</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.1pt">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt"> বা এফসিভিএসে দৃষ্টি রাখছেন কেউ কেউ। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে যে হারে ইভির চাহিদা বাড়ছে, এতে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে মোট বিক্রি হওয়া গাড়ির ৩৫ শতাংশই হবে বৈদ্যুতিক। ফলে ওই সময় সড়ক পরিবহন খাতে দিনে অন্তত ৫০ লাখ ব্যারেল তেলের ব্যবহার কমবে। ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী ইভি বিক্রির সংখ্যা এক কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়েছিল। গত বছর নিজেদের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছিল প্যারিসভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">বৈশ্বিক এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান, ইভির ভবিষ্যৎ এবং বাংলাদেশের অবকাঠামো সীমাবদ্ধতার জন্য ইভি কতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারবে, এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে । এতে বেশির ভাগই ইভির বিপক্ষে কথা বলছে। কেননা বিদ্যুত্চালিত যানবাহনের জন্য যেসব অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা থাকা উচিত, তা এখনো গড়ে ওঠেনি বাংলাদেশে। এ ছাড়া ইভির রয়েছে পরিবেশগত ঝুঁকিও। ফলে বাংলাদেশে এর ভবিষ্যৎ বা সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।  </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"> </span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><b><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যাটারির সীমাবদ্ধতা ও চার্জিং পরিকাঠামো</span></span></b></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি প্রযুক্তির শক্তির ঘনত্বের দিক থেকে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এসব কারণেই ইভিগুলোর ড্রাইভিং রেঞ্জে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এসবের সঙ্গে যোগ করতে হবে ইভিতে ব্যবহূত ব্যাটারির ওজন ও আকার। এসব কারণে ইভিগুলোর ওজন ও খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। লিথিয়াম ব্যাটারির প্রযুক্তি এমন একটি পরিণত অবস্থায় পৌঁছেছে যে এটিকে আর খুব বেশি উন্নতি করার কিছু নেই। </span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সমস্যা আছে ইভির ব্যাটারির ধীরগতির চার্জিং নিয়েও। দ্রুত চার্জিং ব্যবস্থা থাকার পরও এটি প্রচলিত যানবাহনগুলোকে রিফুয়েল করার চেয়েও উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সময় নেয়। ফলে ইভির মাধ্যমে দূর-দূরান্তের ভ্রমণ একরকম কঠিন হয়ে যায়।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের অবকাঠামো সীমাবদ্ধতার জন্য ইভির চার্জিংয়ে রয়েছে নানা সমস্যা। বিস্তৃত, নির্ভরযোগ্য চার্জিং অবকাঠামো তৈরি করতে ইউটিলিটি, সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে ব্যাপক বিনিয়োগ ও সমন্বয় প্রয়োজন। বাংলাদেশে এ ধরনের সমন্বয় ও বিনিয়োগ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া রয়েছে ব্যাটারির ক্ষয় ও নিরাপত্তার ঝুঁকি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইভি ব্যাটারি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এতে অভ্যন্তরীণ শর্ট সার্কিটের জন্য, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো গরম জলবায়ুতে সম্ভাব্য অগ্নি-বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ে। আর ইভির পুরনো বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাটারি প্রতিস্থাপনে সাধারণত একটি নতুন গাড়ি কেনার মতো খরচ হবে।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"> </p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><b><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবেশ ও স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ </span></span></b></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উৎপাদনে প্রয়োজন হয় বিরল খনিজ ধাতু। এসব উত্তোলন ও প্রক্রিয়াকরণের কোনো সুবিধা বাংলাদেশে নেই। ফলে বাংলাদেশকে চীনের মতো দেশ থেকে সব ব্যাটারি আমদানি করতে হবে, যা বেশ ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে। যদিও খরচ বাঁচাতে দেশে ব্যাটারি তৈরির জন্য লিথিয়াম আমদানি করা হয়। কিন্তু এটির জন্য চাই বিশাল পুঁজি।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যাটারির জটিল রসায়ন এবং ব্যাটারি ফুটো হয়ে বিপজ্জনক পদার্থ বের হয়ে হওয়ার আশঙ্কার কারণে ব্যবহূত ইভি ব্যাটারির সঠিক পুনর্ব্যবহার এবং নিয়ন্ত্রণ করা উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া বাংলাদেশে আগুন ও রাসায়নিক পদার্থের জন্য প্রয়োজনীয় ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অবকাঠামো নেই। ফলে এগুলো সহজেই ভাগাড়সহ ভূগর্ভস্থ পানিকে দূষিত করে ফেলবে।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইভি ব্যবহারের জন্য বড় যুক্তি হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে নানা রকম পরিবেশগত সুবিধা। কিন্তু ইভির চার্জের জন্য বিদ্যুতের উৎসর ওপর নির্ভরশীল, যা কিনা মূলত জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উৎপন্ন হয়ে থাকে। আর স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে ঠিকই ইভি পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলছে।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া বাংলাদেশের উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু ব্যাটারির ক্ষয়কে ত্বরান্বিত করতে পারে। ফলে ব্যাটারিতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"> </p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><b><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইভি</span></span></b></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইভি ও ব্যাটারির উচ্চ খরচ বাংলাদেশে এগুলোর গ্রহণযোগ্যতাকে সীমিত করবে। জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশের আর্থিক সামর্থ্য সীমিত হওয়ার জন্য অনেকেই সস্তা, ত্রুটিযুক্ত ব্যাটারির ব্যবহার বা অনুপযোগী রক্ষণাবেক্ষণের দিকে ঝুঁকতে পারে। এতে নিরাপত্তাঝুঁকি বাড়বে। ইভির নষ্ট ব্যাটারির প্রতিস্থাপন ব্যয়বহুল হতে পারে, যা প্রায় একটি নতুন গাড়ি কেনার মতো। ইভির ক্রয়ক্ষমতা প্রায়ই সরকারি ভর্তুকি ও প্রণোদনার ওপর নির্ভর করে, যা বাংলাদেশ ডলার সংকটের কারণে সম্ভব নয়। ঢাকার মতো শহরে দ্রুত নগরায়ণ এবং উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে ইভির ব্যাটারিতে আগুন বা বিস্ফোরণ বিপর্যয়কর পরিণতি হতে পারে। এতে অনেকের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সম্পদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইভি ব্যাটারির আগুন বা বিস্ফোরণ সামলানোর মতো পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বাংলাদেশে এখনো গড়ে ওঠেনি। এ জন্য আমাদের ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"> </span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><b><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিকল্প হতে পারে হাইড্রোজেন</span></span></b></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইভির যথাযথ বিকল্প হতে পারে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ভেহিকল</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বা </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এফসিভিএস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। এগুলো এখনকার ইভি প্রযুক্তির তুলনায় দীর্ঘ ড্রাইভিং রেঞ্জ এবং দ্রুত রিফুয়েলিং সময় দিতে পারে। ইভির মতো এফসিভিএসগুলো পরিবেশে পরোক্ষভাবে কোনো ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন করে না। এটি শুধু উপজাত হিসেবে জলীয় বাষ্প উৎপন্ন করে।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাইড্রোজেন নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত হতে পারে; যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছোট মডিউলার রি-অ্যাক্টর ব্যবহার করে পানির তড়িৎ বিশ্লেষণ বা গোবরের মতো জৈব বস্তুর গ্যাসীয়করণের মাধ্যমে। এ কারণে বলা যেতে পারে, এটির জ্বালানি উৎসগুলো বেশ টেকসই।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গ্যাসোলিন ও ডিজেল রিফুয়েলিং স্টেশনের বিদ্যমান অবকাঠামো হাইড্রোজেন রিফুয়েলিংয়ের জন্য সহজেই পরিবর্তিত করা যেতে পারে। তবে এটির জন্য উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যাটারির তুলনায় হাইড্রোজেনের রয়েছে উচ্চ শক্তির ঘনত্ব, যা এফসিভিএসে হালকা এবং আরো কমপ্যাক্ট এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেমের জন্য সুবিধা দেবে। এসব কারণেই জাপানের বিখ্যাত গাড়ি প্রস্তুতকারক কম্পানি টয়োটা ইভিকে পুরোপুরি পাশ কাটিয়ে হাইড্রোজেনচালিত গাড়িতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে।</span></span></span></span></span></span></p>