<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কিছুদিন ধরেই তৈরি পোশাক বা গার্মেন্টস শিল্পে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছিল। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অনেক গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ থাকে। উৎপাদন ব্যাহত হয়। বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদামাফিক পোশাক রপ্তানি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গার্মেন্টস শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে থাকে। গত মঙ্গলবার চারজন উপদেষ্টা পোশাক কারখানার শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেয়। শ্রমিকপক্ষও এই সমঝোতায় সন্তোষ প্রকাশ করে। বুধবার থেকে সব কারখানা খোলা রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। বাস্তবেও গুটিকয়েক কারখানা ছাড়া গতকাল বুধবার প্রায় সব কারখানাই খোলা ছিল। শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত গার্মেন্টস। প্রতিবেশী অনেক দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প এগিয়ে গেছে। এ নিয়ে প্রতিবেশী অনেক দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের তীব্র প্রতিযোগিতা রয়েছে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতের অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়ার জন্য অতীতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। অন্তর্ঘাত সৃষ্টিরও চেষ্টা হয়েছে। সব মোকাবেলা করেই এই খাতটি এগিয়ে চলেছে। এতে সরকার, মালিক ও শ্রমিক</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সবারই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তার পরও সময়ে সময়ে শ্রমিকরা দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন। গতকাল কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, শ্রমিকদের যে ১৮ দফা দাবি মালিকপক্ষ মেনে নিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ছিল হাজিরা বোনাস, টিফিন ও নাইট বিল প্রদান, ১০ অক্টোবরের মধ্যে সব কারখানায় ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন, শ্রমঘন এলাকায় টিসিবি ও ওএমএসের মাধ্যমে রেশন প্রদান, শ্রমিকদের আগের বকেয়া ১০ অক্টোবরের মধ্যে পরিশোধ, ঝুট ব্যবসা মনিটর করে শ্রমিকদের মধ্য থেকে ক্রেতা বের করা এবং কারখানার শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্তি বন্ধ করতে মনিটর করা। এ ছাড়া গত বছর ন্যূনতম মজুরির আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময়ে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে যেসব নিপীড়নমূলক মামলা হয়েছিল, সেগুলো প্রত্যাহারের জন্য রিভিউ করে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমাধান করা, নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা, জুলাই আন্দোলনে হতাহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা, রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনসের দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে কমিটি গঠন এবং সব কারখানায় ডে কেয়ার সেন্টার নিশ্চিত করা। ১৮ দফার মধ্যে আরো আছে, অন্যায্যভাবে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করা, নারী কর্মীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করা, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে কমিটি গঠন, শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে কাজ করা, প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করা এবং প্রতিবছর দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইনক্রিমেন্ট দিতে কমিটি গঠন করা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গার্মেন্টস দেশের অর্থনীতির প্রাণ। এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। ভবিষ্যতেও সব বিরোধ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>