<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। অনেক দিন ধরেই চলছে এই সংকট। তা সত্ত্বেও জ্বালানি তেল আমদানিতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রায় কেনা জ্বালানি তেলের একটি বড় অংশই পাচার হয়ে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশকে প্রয়োজন মেটাতে আরো বেশি করে তেল কিনতে হচ্ছে। চাপ পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর। খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অর্থনীতির স্বার্থে পাচার রোধে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভারতের কলকাতার সঙ্গে বাংলাদেশের ডিজেলের দামের পার্থক্য ২৫ টাকা এবং পেট্রলের দামের পার্থক্য ২২ টাকার ওপর। বর্তমানে কলকাতায় প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হয় ৯১.৭৬ রুপিতে, বাংলাদেশি মুদ্রায় দাম দাঁড়ায় ১৩০.৪৯ টাকা। অথচ বাংলাদেশে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ১০৫.৫০ টাকায়। কলকাতার সঙ্গে প্রতি লিটার ডিজেলের দামের পার্থক্য দাঁড়ায় ২৪.৯৯ টাকা। কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রল ১০৪.৯৫ রুপিতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৯.২৫ টাকা) বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রতি লিটার পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ১২৭ টাকায়। পেট্রলে পার্থক্য ২২.২৫ টাকা। সীমান্তের এপার এবং ওপারের মধ্যে দামের এই ব্যবধানের কারণে পাচারকারীরা তেল পাচারে উঠেপড়ে লেগেছে। উভয় দেশের সীমান্তে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু পাচারচক্র। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে বছরে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করা হয় কিংবা তাতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করা হয়, তার ৭৩ থেকে ৭৫ শতাংশই ব্যয় করা হয় ডিজেল আমদানিতে। অতি মূল্যবান ও অতি জরুরি বৈদেশিক মুদ্রার এমন অপচয় কোনোভাবেই কাম্য নয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তেল পাচারের অনেক রকমের পদ্ধতি রয়েছে। সেসব পদ্ধতির পাশাপাশি ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকে করেও প্রচুর জ্বালানি তেল চলে যায়। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এক কোটি ৮৭ লাখ ১২ হাজার ৪২ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হয়েছে। এই পরিমাণ পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করতে ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৫টি ট্রাক যাতায়াত করেছে। যেসব গাড়ি সীমান্তে পণ্য আনা-নেওয়া করে, সেগুলো ২৫০ থেকে ৩০০ লিটার পর্যন্ত জ্বালানি ধারণ করতে পারে। কোনো কোনো ট্রাকে আবার ৪০০ থেকে ৫০০ লিটার তেল নেওয়ার মতো ট্যাংকও আছে। সহজেই অনুমান করা যায়, কী পরিমাণ তেল ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের অর্থনীতির স্বার্থে তেল পাচার রোধে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সীমান্তগুলোতে কঠোর নজরদারি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।</span></span></span></span></p>