<p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাশিয়ায় ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মিত্রদের কাছ থেকে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযোগ করেছে তারা। বিষয়টি নিশ্চিত হলে তেহরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউরোপের এই জোট। গতকাল সোমবার ইইউয়ের মুখপাত্র পিটার স্ট্যানো এই কথা জানিয়েছেন। তবে পশ্চিমাদের এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ইরান।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইইউয়ের মুখপাত্র বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিত্রদের দেওয়া বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি, রাশিয়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে ইরান। আমরা আমাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখছি। ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি যদি নিশ্চিত হয়, তবে তা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অবৈধ আগ্রাসনে ইরানের সমর্থন রয়েছে বলে গণ্য হবে। তেহরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়াসহ এই বিষয়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাবে ইইউ। ইউক্রেনের বিষয়ে ইইউ নেতাদের সর্বসম্মত অবস্থান সর্বদা স্পষ্ট।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে গত শুক্রবার মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে বলেছে, রাশিয়ায় ইরান স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে বলে ইউরোপীয় মিত্রদের জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে রাশিয়ায় ইরান ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে গণমাধ্যমের এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করেনি ক্রেমলিন। গতকাল সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা প্রতিবেদনটি দেখেছি। এ ধরনের তথ্য যে প্রতিবারই সত্য হবে তা কিন্তু নয়। ইরান আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমরা আমাদের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন করছি। সবচেয়ে সংবেদনশীল ক্ষেত্রসহ সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে আমাদের সংলাপ ও সহযোগিতার উন্নয়ন করছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>    </span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাশিয়ায় ইরানের অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে পশ্চিমাদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুদ্ধের এক পক্ষের কাছে ইরানের অস্ত্র সরবরাহের দাবিটি আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। ইরানের বিরুদ্ধে তারাই অভিযোগ করে, যারা যুদ্ধের এক পক্ষকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তেহরান ইউক্রেন যুদ্ধের অংশ নয় বলে পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। কয়েক মাস ধরে রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো নিয়ে তেহরানকে সতর্ক করে আসছে পশ্চিমারা। এরই মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মস্কোকে ড্রোন সরবরাহ করায় ইরানের ওপর বারবার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইইউ। সূত্র : এএফপি</span></span></span></span></span></p>