<p>আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়া আরো চারজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রয়েছেন। এবারের নির্বাচনে গাজা ও লেবানন ইস্যুর কারণে তাদের মধ্যে যে কারো ভাগ্য বদল হয়ে যেতে পারে। কমলা ও ট্রাম্পকে সবাই চেনেন, কিন্তু চার প্রার্থী সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। </p> <p>ট্রাম্প জুলাই মাসে ওহিওর সিনেটর জেডি ভ্যান্সকে  রানিং মেট ঘোষণা করেছিলেন এবং হ্যারিস আগস্টে মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজকে বেছে নিয়েছেন রানিং মেট হিসেবে। এবার জেনে নেওয়া যাক কমলা ও ট্রাম্প ছাড়া আরো চার প্রার্থীর নাম।</p> <p><strong>রবার্ট জুনিয়র কেনেডি</strong></p> <p>এবারের নির্বাচনে অন্যতম আলোচিত ব্যক্তি রবার্ট কেনেডি জুনিয়র। তার পক্ষে এবারের নির্বাচনে ৫-৭ শতাংশ সমর্থন ছিল। কিন্তু গত আগস্ট মাসে তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। তবে কয়েকটি অঙ্গরাজ্য তার নাম ব্যালট থেকে সরাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ট্রাম্পের পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালানো কেনেডি নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবেন, তা স্পষ্ট নয়।</p> <p><strong>কর্নেল ওয়েস্ট</strong></p> <p>গ্রিন পার্টির নেতা, বর্ণবাদবিরোধী  ৭১ বছর বয়সী কর্নেল ওয়েস্ট একজন শিক্ষাবিদ। তিনি স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাইডেনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ ও ট্রাম্পকে ‘নব্য ফ্যাসিস্ট’ বলে মনে করেন কর্নেল ওয়েস্ট। তিনি ১২টিরও বেশি অঙ্গরাজ্যে লড়ছেন। তার সমর্থন অল্প হলেও ডেমোক্র্যাট শিবিরের জন্য তিনি বড় দুশ্চিন্তার নাম।</p> <p><img alt="াি" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/11/04/my1153/Untitled-5.jpg" width="1000" /></p> <p><strong>চেজ অলিভার</strong></p> <p>লিবার্টারিয়ান পার্টির নেতা তিনি। ২০২০ সালের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সে সময় ১ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়েছিলেন। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের প্রায় সব কয়টিতেই লড়ছেন তিনি। তাকে এবারের নির্বাচনের সম্ভাব্য অঘটন সৃষ্টিকারী ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। সাবেক ডেমোক্র্যাট ৩৯ বছর বয়সি অলিভার মুক্তবাণিজ্য ও ছোট আকারের সরকারব্যবস্থার পক্ষে প্রচার চালান।</p> <p><strong>জিল স্টেইন</strong></p> <p>তিনি একজন বামপন্থী নেতা। গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট। পেশায় চিকিৎসক ও পরিবেশকর্মী। বর্তমানে তার বয়স ৭৪ বছর বয়স। এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ওই সময় তিনি যথাক্রমে দশমিক ৪ শতাংশ ও ১ শতাংশ করে ভোট পেয়েছিলেন। </p> <p>শিকাগো শহরে জন্ম নেওয়া জিল স্টেইন এবার ৪০টি অঙ্গরাজ্যে লড়ছেন। তাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথা ডেমোক্র্যাট শিবিরে। কারণ, তিনি কমলা হ্যারিসের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ভোট তার পক্ষে টানতে পারেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় কমিটি মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে জিল স্টেইনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপনী প্রচার চালিয়েছে। তাদের ভাষ্য, জিল স্টেইনকে একটি ভোট দেওয়ার অর্থ ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া।</p> <p>তবে এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে। বিভিন্ন জনমত জরিপের তথ্যানুযায়ী, এই দুই প্রার্থীর মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। </p> <p>সূত্র : এএফপি</p>