<p style="text-align:justify">ভারতের মণিপুর রাজ্যের জিরিবাম জেলার একটি থানায় হামলা চালিয়েছে সন্দেহভাজন কুকি বিদ্রোহীরা। ভারতের ‘সেভেন-সিস্টার্স’-এর অন্যতম রাজ্যটিতে অনেকদিন ধরেই সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে। দেশটির বোরোবেকরা মহকুমার পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">পুলিশ জানায়, জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে বোরোবেকরা থানায় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গুলি চালাতে শুরু করে হামলাকারীরা। এছাড়া সেখানকার একটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং বোমা হামলাও চালানো হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">মণিপুরের পুলিশ প্রধান রাজীব সিং বলেন, জিরিবাম জেলাসহ কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত গোলাগুলি চলছে। নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">এর আগে, গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে জিরিবাম জেলায় মেইতে ও কুকি জনজাতির সংঘাতে পাঁচজন নিহত হয়েছিলেন। মাস খানেক বিরতির পরে নতুন করে আবারও অশান্ত হলো মণিপুরের জিরিবাম জেলা। </p> <p style="text-align:justify">শনিবার ভোর থেকে মেইতে ও কুকিদের সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় গোলাগুলি চলছে।</p> <p style="text-align:justify">মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিলে তার প্রতিবাদে ২০২৩ সালের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অব মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে সেখানে অশান্তির সূত্রপাত হয়।  </p> <p style="text-align:justify">মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে খ্রিস্টান-প্রধান জনজাতি কুকি, জো-সহ কয়েকটি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।</p> <p style="text-align:justify">রাজ্যটিতে শান্তি ফেরাতে চলতি সপ্তাহে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বিধায়কদের নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিতে বৈঠকের আয়োজন করেছে। </p> <p style="text-align:justify">সূত্র: <strong>এনডিটিভি</strong></p>